করোনাভাইরাসের দ্রুত বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের কয়েকটি দেশ চীন থেকে আগতদের ঠেকাতে সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে যে সাম্প্রতিককালে চীনে অবস্থানরত সমস্ত বিদেশি ভ্রমণকারীদের তারা নিজ দেশে প্রবেশ করতে দেবে না। ডিসেম্বরে চীনে এই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।
এর আগে, রাশিয়া, জাপান, পাকিস্তান এবং ইতালিসহ কয়েকটি দেশ একই ধরনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র কর্মকর্তারা এ জাতীয় পদক্ষেপ না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
হু’র প্রধান শুক্রবার বলেছেন, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ভালোর চেয়ে ক্ষতি বেশি করবে। কেননা এতে তথ্য ভাগাভাগি, চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ এবং অর্থনীতির ক্ষতি হবে। এর পরিবর্তে সীমান্ত পারাপারের আনুষ্ঠানিক স্থানগুলোয় স্ক্রিনিং ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
তারা সতর্ক করেছে যে, সীমান্ত বন্ধ করে দিলে যাত্রীরা অনানুষ্ঠানিকভাবে বা অবৈধভাবে দেশে প্রবেশের মাধ্যমে ভাইরাসের বিস্তারকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। একের পর এক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে চীনও। ওইসব দেশের সরকার, স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ উপেক্ষা করছে বলেও তারা অভিযোগ করে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেছেন, হু ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপারিশ করলেও যুক্তরাষ্ট্র ঠিক তার উল্টোদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। যা কোনও সদিচ্ছার পরিচয় নয়।
এদিকে ২০১৯-এনকভ নামে পরিচিত নতুন এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন ছাড়া বাকি সব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চীনে এবং এসব মৃত্যুর বেশিরভাগই ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশে ঘটেছে।
অন্যদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, চীন জুড়ে ২,৫৯০টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪,৩৮০ জনে।