কলকাতার জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। ক্যারিয়ারের প্রথম ছবিতেই অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করে বিতর্কের মুখে তিনি। ‘লাভ আজ কাল পরশু’র গান-ট্রেলারে বেশ খোলামেলা দৃশ্যে দেখা গেছে তাকে। পরিচালনা করেছেন প্রতীম ডি দাশগুপ্ত। ছবিতে তার বিপরীতে আছেন অর্জুন চক্রবর্তী।
যৌনদৃশ্যে অভিনয় নিয়ে এই মধুমিতা সরকার ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেন, ২০২০ সালে দাঁড়িয়ে প্রেমের ছবিতে কোনও যৌনতা থাকবে না এটা আশা করাটাই তো ভুল। প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে যদি বন্ধু হয়, তারা একান্তে কোনও জায়গায় তিন-চার ঘণ্টা সময় কাটাতে পারে, তা হলে তারা কিস করবে না? আমরা বাঙালিরা সব করব। ইংরেজি ছবিতে অবাধ যৌন দৃশ্য দেখব। বিদেশিদের অজস্র বার চুমু খেতে দেখব। এখন এখানেও পার্কে আমরা তরুণ-তরুণীকে চুমু খেতে দেখি। তার জন্য নেটফ্লিক্সেও যেতে হবে না। কিন্তু সেটা বাংলা ছবিতে দেখতে পেলেই একেবারে রে রে করে উঠব! এ রকম আর কত দিন চলবে বলুন তো? আসলে প্রপার সেক্স এডুকেশনের অভাব। আমি অস্ট্রেলিয়াতে তো যা খুশি পরে ঘুরে বেড়াতে পারি। কিন্তু যেই এখানে আসি আমাকে দেখতে ভাল লাগলেও চট করে সব রকমের পোশাক পরতে পারি না।
সিনেমায় কিসিং সিনে কতটা স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন? জবাবে তিনি বলেন, আমার কাছে কোনও দিন ছেলেমেয়ে বলে আলাদা ইনহিবিশন ছিল না। আমি দামিনী বসুর ওয়ার্কশপ করেছি। আজ যেখানে বসে আপনার সঙ্গে কথা বলছি সেখানেই প্রতীমদা আমায় এই ‘লাভ আজ কাল পরশু’-র চিত্রনাট্য পড়তে বলে। আমিও পড়তে পড়তেই চিত্রনাট্যের লোভে পড়ে যাই। যাই হোক, প্রথমেই এত বড় সুযোগ। প্রতীমদার ছবি। সঙ্গে অর্জুন আর পাওলিদি (পাওলি দাম)। সত্যি কথা বলতে কি, ভেবেছিলাম কিসিং সিনটা কেমন হবে? প্রতীমদাকে বলেছিলাম, এই বাড়ির বউ দেখা আমাকে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে দেখলে দর্শক কী ভাববে? তখন কি ইউনিটের সবাই থাকবে? নাকি অন্য কিছু হবে? তারপর দেখলাম, শুট করতে করতে জাস্ট হয়ে গেল। অন্য আর একটা সিনের মতোই।
ধারাবাহিকে অভিনয় করেই ইনস্টাগ্রামে প্রায় চার লাখের কাছাকাছি ফলোয়ারের সংখ্যা প্রসঙ্গে মধুমিতা বলেন, ধারাবাহিক ছাড়া তো আমি আর কিছু করিনি। আজও লোকে আমায় ‘বোঝে না সে বোঝে না’-র ‘পাখি’ বলে জানে। সেই ‘কেয়ার করি না’ থেকেই লোকে আমায় ভালোবাসে। ‘কুসুমদোলা’-র ইমনকে নিয়ে লোকে আজও পাগল।
আসছে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে পশ্চিমবঙ্গে ‘লাভ আজ কাল পরশু’ ছবিটি মুক্তি পাবে।