বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশের বন্দরগুলোতে এখনই থার্মাল স্ক্যানার বসানো জরুরি। কারণ করোনাভাইরাস এখন চীনের বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে।
আজ বুধবার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও জাজিরায় স্থাপিত প্রকল্প কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ৯৫ শতাংশ কমে গেছে। করোনাভাইরাসের যে মহামারি ঘটেছে, চীন তার বিরুদ্ধে জয়লাভ করার পথে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘যেকোনো স্থান থেকেই করোনাভাইরাস আক্রমণ করতে পারে। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশেও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সে কারণে বাংলাদেশও ঝুঁকিতে আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে চীনা রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পদ্মা সেতু ও সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পে কর্মরত চীনা নাগরিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু তাদের ভিসা জটিলতা দেখা দিয়েছে। তাই এসব প্রকল্পে কর্মরত চীনা নাগরিকদের ভিসা জটিলতা সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পদ্মা ব্রিজ রেল লিংক প্রজেক্ট (পিবিআরএলপি) প্রকল্প পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান, বাংলাদেশে চীনের দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সিলর লিও ঝেন হুয়া, সিআরইসি-এর পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক লিও জিয়ান হুয়াসহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার (৩ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে, আজ বুধবার (৪ মার্চ) ইন্সটিটিউটের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকির বাইরে নয়।