মাশরাফির বিদায়ের ঘোষণা দারুণ প্রভাব ফেলেছে দলের প্রতিটি ক্রিকেটারের মধ্যে। তাদের মন খারাপের চিত্রটা স্পষ্ট। গতকাল বিকালে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের দলবদলে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অংশ নিয়েছিলেন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে। সেখানেই ক্লাবগুলোর সঙ্গে চুক্তি করেন তারা। এরপরই মাশরাফিকে নিয়ে তাদের আবেগের কথা একে একে জানান। মূলত সবার কণ্ঠেই ছিল, অধিনায়কই নয় একজন ভাইকে মিস করবেন তারা।
মুশফিকুর রহীম: মাশরাফি ভাইয়ের রিপ্লেসমেন্ট কখনও আসবে না। পাশাপাশি এটিও বলবো, তিনি পরিবারেরই একটি অংশ।
তিনি আমাদের জন্য বড় ভাই-ই নন, আমাদের অংশ। অধিনায়ক হিসেবে অনেক মিস করবো। উনি অধিনায়ক হওয়ার পর আমাদের দল আমূল বদলে দিয়েছেন। মাঠের ভেতরই নয় শুধু, মাঠের বাইেরও অনেক বদলে দিয়েছেন। অবশ্যই অনেক মিস করবো। আশা করবো, উনি যতদিন পারেন যেন খেলা চালিয়ে যেতে পারেন।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ: মাশরাফি ভাই যখন অধিনায়ক ছিলেন, ভাই, বন্ধু বা অধিনায়ক যাই বলেন, আমি পুরো সময়টা খুব উপভোগ করেছি। আজ প্রায় ছয় বছর হলো উনি অধিনায়কত্ব করেছেন। মাশাআল্লাহ অনেক সাফল্যও পেয়েছেন। তো আমি ওনার পরবর্তী জীবনের জন্য শুভ কামনা জানাচ্ছি এবং এটায় কোনো সন্দেহ নেই যে উনি বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি।
তামিম ইকবাল: এত অল্প সময়ে মাশরাফি ভাইকে নিয়ে কথা বলা কঠিন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য উনি যা করেছেন তা কোনো ক্রিকেটার, ক্রিকেট বোর্ড, বাংলাদেশের ক্রিকেটের সমর্থক কারও কোনোদিন ভোলা উচিত নয়। আমাদের সবার মনের ভেতর থাকা উচিত। ২০১৫ সালে আমরা একটি জায়গায় ছিলাম, ২০১৯ সালে একটা অবস্থা এসেছি। উনার হাত ধরেই। ওয়ানডেতে বিশেষ করে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের এখন যেভাবে মূল্যায়ন করে, এটা উনার জন্যই সম্ভব হয়েছে।
তাইজুল ইসলাম: আমার ক্ষেত্রে নয়, বাংলাদেশ দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্যই মাশরাফি ভাইয়ের প্রভাবটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন নতুন জাতীয় দলে ঢুকছি, আসলে তখনের সহায়তাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মাশরাফি ভাইয়ের সাপোর্টটা অন্যরকম ছিলো।
মোহাম্মদ মিঠুন: আমরা সবাই জানি অধিনায়ক হিসেবে তিনি ক্রিকেটারদের কাছে কেমন ছিলেন। বড় ভাই হিসেবে তিনি অসাধারণ। আমরা কোনো সমস্যা হলেই তার কাছে যেতাম। তিনি বুদ্ধি দিয়ে হোক, নিজে চেষ্টা করে হোক, সবসময় যে কোনো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন।
লিটন কুমার দাস: মিস তো করবোই। বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক তিনি। ক্রিকেটারদের যেভাবে সমর্থন করে গেছেন, এটা বলার মতো নয়। বিশেষ করে জুনিয়র ক্রিকেটারদের। আমার যখন অভিষেক হয়, উনার নেতৃত্বেই খেলেছি। আমার জন্য সেটি বড় পাওয়া।
মোস্তাফিজুর রহমান: জানার পর থেকেই মন খারাপ। ভাইয়ের কোনো ব্যাখ্যা নাই আমার কাছে। আমাকে তিনিই নিয়ে এসেছিলেন দলে। আমার মন এখনও খারাপ।
মেহেদী হাসান মিরাজ: তার নেতৃত্বেই আমার অভিষেক। এরপর থেকে প্রতিটি মুহূর্তে পাশে ছিলেন, এখনো আছেন। আজ নেতৃত্ব ছেড়েছেন হয়তো অবসরেও যাবেন। কিন্তু আমি চাই তিনি যেকোনো ভূমিকায় আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাশে থাকুক।