প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস।
করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, বিশ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধোয়া, আধোয়া হাতের সাহায্যে মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকা, জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলা, হ্যান্ডশেক ও কোলাকুলি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেহেতু হাতের সাহায্যে সকল কাজ করা হয় এবং সবসময় হাত ধোয়া সম্ভব হয় না, তাই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করাই সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হিসেবে দেখছেন অনেকে। কিন্তু এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পর কতক্ষণ সময় পর্যন্ত সেটার প্রভাব কার্যকর থাকবে?বেশ কিছু গবেষণা ও ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ফলাফল থেকে দেখা গেছে, অধিকাংশ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার পর ১-২ মিনিট পর্যন্ত থাকে তার কার্যকারিতা। এমন চমকপ্রদ তথ্যটি নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজের বরাত দিয়ে জানান এনওয়াইইয়ু ল্যাংগন মেডিক্যাল সেন্টারের ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি এন্ড ইমিউনলজি বিভাগের ডিরেক্টর ফিলিপ টায়েরন জুনিয়র. পিএইচডি।এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লেনক্স হিল হসপিটালের ফিজিশিয়ান ও ইন্টার্নিস্ট ডা. লেন হরভিটজ বলেন, একদম কোনো কিছু ব্যবহার না করার চাইতে অল্প সময়ের জন্য সুরক্ষা পাওয়াও ভালো। বিশেষত আপনি যখন কারোর সাথে হ্যান্ডশেক কিংবা কোন পেপারে সাইন করতে যাবেন। তবে সবচেয়ে উপকারী ও কার্যকরী জিনিসটি হলো পানি ও সাবানের সাহায্যে সময় নিয়ে হাত ধোয়া।কিন্তু তাই বলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া উচিত হবে না মোটেও। হাঁচি-কাশি, খাবার খাওয়া, কিবোর্ড ব্যবহার, কোন কিছু লেখা, কারোর সাথে হ্যান্ডশেক করার আগ ও পরের মুহূর্তে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার জীবাণু থেকে নিরাপদ রাখতে কাজ করবে খুব ভালোভাবেই। তবে তার কার্যকারিতার সীমিত সময়ের বিষয়টি মাথায় রেখে ব্যবহারের প্রতি সতর্ক হতে হবে।