দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি। আজ রোববার বিকেল থেকে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক প্রবেশের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় আমদানি কার্যক্রম। প্রথম দিনে ১৯টি ভারতীয় ট্রাকে প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় ইতিমধ্যে কর্মচঞ্চলতা ফিরেছে এই বন্দরে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দীর্ঘ দিন পেঁয়াজ না আসায় দেশীয় বাজারে যেমন পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয় তেমনি লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে পণ্যটির দাম। দেশীয় বাজারে যখন কমতে শুরু করলো পেঁয়াজের ঝাঁজ ঠিক তখনি শুরু হলো ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি। তবে আমদানিকারকরা বলছেন, এই আমদানি দেশীয় বাজারে নেতিবাচক কোনও প্রভাব পড়বে না।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে দেশীয় বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা পেঁয়াজের দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এই দামে পেঁয়াজ কিনে লোকসান গুনতে হবে তাদের।
হিলি বন্দরের শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন পর পেঁয়াজ আমদানি হওয়াতে গতি ফিরেছে বন্দরের, কর্মতৎপরতা ফিরেছে শ্রমিকদের মাঝেও।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, দেরিতে হলেও পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় খুশি তারা। একদিকে যেমন বাড়বে বন্দরের আয় তেমনি আগামী রমযানে দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম থাকবে সহনীয় পর্যায়ে।
স্থানীয় বাজারগুলোতে যখন দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে ঠিক তখনি বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানিতে ভোক্তা পর্যায়ে দাম কমলেও লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।