মিরপুরে শেরেবাংলা মাঠে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় পেলো অধিনায়ক তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। সোমবার তারা ৯ রানে হারায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল গাজী গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে। প্রাইম ব্যাংকের ২৫১ রানের জবাব দিতে নেমে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল থামে ২৪২ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে। শেষ দিকে তামিমদের প্রায় কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন গাজীর অফস্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান। ৪৯ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড নৈপুণ্য নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন প্রাইম ব্যাংকের নাহিদুল ইসলাম।
দিনের শুরুতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স টসে জয় দিয়ে শুরু করেছিল। তামিম ইকবালদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ভুল করেননি তা প্রমাণ করেন বোলাররা। দলের স্কোর বোর্ডে কোন রান যোগ না করেই ফিরিয়ে দেন প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে।
৩ বল খেলা বিজয় তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের বলে ক্যাচ দেন রিয়াদের হাতে। এরপর অধিনায়ক ও দেশসেরা ওপেনার তামিম ৪৭ বলে খেলে করেন ১৯ রান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুই সেঞ্চুরির মালিক ঢাকা লীগের শুরুটা ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি। তবে জাতীয় দলের বাইরে থাকা রনি তালুকদার হাল ধরেন দলের। তার ব্যাট থেকে আসে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৪ বলে ৭০ রান। তবে তিনি আউট হলে শেষ দিকে নাঈম হাসান ও নাহিদুল ইসলাম জুটি বাঁধেন। তাদের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ২৫১ রান করতে সক্ষম হয় প্রাইম ব্যাংক। নাহিদুল দলের পক্ষে দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকান। তার ব্যাট থেকে আসে ৩ টি করে চার ও ছয়ের মারে ৪৩ বলে ৫৩ রান। তার সঙ্গে অন্য পাশে নাঈম ৩৬ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি গাজীরও। মাত্র ৫ রান করে আউট হন ওপেনার জাকির হাসান। তবে একপাশ আগলে রাখেন জাতীয় দলের তারকা সৌম্য সরকার। যদিও ব্যক্তিগত ৪৯ রানে আউট হন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে গাজীর। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল ২৮, মাহমুদুল্লাহ ৩২, আরিফুল হক ২০, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আকবর আলী ৩১ রান করে আউট হন। ১৭৪ রানেই গাজী হারিয়ে ফেলে ৭ উইকেট। কিন্তু তামিমদের স্বস্তি দেননি মেহদী হাসান। ৬ চার ও ৩ ছয়ে শেষ পর্যন্ত ৫৬ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি।