করোনা ভাইরাস নিয়ে ১০ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। যেখানে করোনা ভাইরাস মহামারির বিস্তারের জন্য দায়ী করা হয়েছে ৫জি প্রযুক্তিকে। চলতি মাসের শুরুতে বিতর্কিত সেই ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন টেনিস সুপারস্টার নোভাক জকোভিচের স্ত্রী জেলেনা জকোভিচ। ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ ভিডিওটিতে ‘ভুয়া তথ্য’ লেভেল লাগিয়ে দিয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই ১ লাখেরও বেশি ভিউ হয়ে গেছে সেটি।
বিতর্কিত এই ভিডিও পোস্ট করায় বিপাকে পড়েছেন ৩৩ বছর বয়সী জেলেনা। ৫ লাখ ফলোয়ারের বড় একটা অংশ তাকে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের জন্য দোষারোপ করেছে। যদিও জেলেনা ক্যাপশনে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি লিখেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস, এর কারণ, রোগটির প্রতিকার, প্রতিরোধে ব্যাপারে অনেকগুলো ভিডিও নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
সময় হলে দয়া করে এই ভিডিওটি দেখুন। আমাকে আপনাদের ভাবনা জানান। কেউ কি এই লোকটাকে চেনেন?’
জেলেনা যে লোকের কথা বলছেন, তিনি হলেন আমেরিকান চিকিৎসক থমাস কাওয়ান। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, আফ্রিকার দেশগুলোতে ৫জি নেই বিধায় সেখানে করোনার সংক্রমণ কম। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুতই ভাইরাল হয়ে পড়ে ওই ব্যক্তির বক্তব্য। আমেরিকায় কয়েকটি ৫জি নেটওয়ার্ক টাওয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটে।
সমালোচনা হজমের পর সোমবার এক বিবৃতিতে জেলেনা বলেছেন, ‘কিছুদিন আগে আমি ভিডিওটি শেয়ার করি একটা কারণেই- বিষয়টি জানার জন্য। এটাকে সত্য কিংবা মিথ্যা দাবি করছি না আমি।’
এর আগে রোববার ‘করোনা ভ্যাকসিন নেবেন না’ ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন ১৭ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী জকোভিচ। স্বদেশি টেনিস তারকাদের সঙ্গে এক ভিডিও চ্যাটে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি ভ্যাকসিনেশনের বিপক্ষে। কিন্তু ওটা যদি বাধ্যতামূলক করা হয়, তখন আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ বৃটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের আশঙ্কা, করোনা ভ্যাকসিন ছাড়া টেনিসে ফেরা কঠিন হয়ে যাবে বর্তমান নাম্বার ওয়ান জকোভিচের জন্য। অবশ্য কভিড-১৯ এর কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের দিকেই এখন তাকিয়ে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ।