করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) কমিউনিটি পর্যায়ে সংক্রমণ থামাতে পারার ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ভাইরাসটি সম্পূর্ণরুপে নির্মূল করতে পেরেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
আরডার্ন রোববার বলেন, আপাতত ভাইরাসটি সম্পূর্ণরুপে নির্মূল করা হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলেছেন, তার মানে এই নয় যে, নতুন আক্রান্তের সংখ্যা পুরোপুরি থেমে গেছে।
এদিকে, দেশজুড়ে আরোপিত কঠোর লকডাউন শিথিল করতে চলেছে নিউজিল্যান্ড। মঙ্গলবার থেকে দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা, শিক্ষা কার্যক্রম ও আংশিকভাবে অনাবশ্যক ব্যবসা চালুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আরডার্ন বলেন, আমরা অর্থনীতি চালু করছি, কিন্তু মানুষের সামাজিক জীবন খুলে দিচ্ছি না। তার মানে, বেশিরভাগ মানুষকে এখনো ঘরেই অবস্থান করতে হবে। প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৬৯ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মাত্র ১৯ জন।
দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মহাপরিচালক অ্যাশলি ব্লুমফিল্ড বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোয় সংক্রমণের হার হ্রাস পেয়েছে। এতে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা ভাইরাসটি নির্মূলের লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছি। তিনি সতর্ক করেন যে, এখানে নির্মূল মানে এই নয় যে, নতুন আর কোনো আক্রান্ত শনাক্ত হবে না। এর মানে হচ্ছে যে, আমরা জানি, ভাইরাসটির সংক্রমণের উৎসগুলো কোথায়।
আরডার্ন বলেন, নিউজিল্যান্ডে কোনো অশনাক্ত কমিউনিটি সংক্রমণ নেই। আমরা এই যুদ্ধে জয়ী। তবে পরিস্থিতি এরকম রাখতে হলে, দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাত থেকে নিউজিল্যান্ডে লকডাউনের মাত্রা চতুর্থ পর্যায় থেকে তৃতীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে। ওই সময় থেকে রেস্তোরা সহ অসংখ্য অনাবশ্যক ব্যবসা খুলে দেয়ার অনুমোদন কার্যকর হবে।
তবে নিউজিল্যান্ডবাসীকে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বাইরে বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। অন্যান্য দল থেকে থেকে অন্তত ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ আছে গণজমায়েত, শপিং সেন্টার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।