1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
ভারতে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি চাঙ্গা করছে মদ! - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
ঈদে ইজি ফ্যাশনে নান্দনিক পাঞ্জাবি ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত বিএনপির প্রতিটা নিঃশ্বাস যেন খুঁজছে তোমায়: পূজা চেরি প্রযোজককে এসিড নিক্ষেপের হুমকি, চিত্রনায়িকা পলির বিরুদ্ধে জিডি ছেলেদের সৌন্দর্য কিসে, জানালেন জায়েদ নিপুণের আবেদনে পেছাল ভোটের তারিখ, অসন্তুষ্ট মিশা ফরজ গোসল না করে সেহরি খেলে কি রোজা হবে? ৫৬ সেকেন্ডের ভিডিও, কোন সম্পর্কের ইঙ্গিত দিলেন বুবলী-রাজ রোজা রাখলে পাবেন ৫ উপকার ‘রিয়াজ এখন নিপুণের চামচা হয়ে গেছে, এটা খুব কষ্টের’ মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রশ্নে যা বললেন ওবায়দুল কাদের বেশি কথা বললে সব রেকর্ড ফাঁস করে দেব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘খালেদা জিয়া একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা’ রিজভীর ভারতীয় চাদর ছুড়ে ফেলা নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের বুর্জ খলিফায় শাকিবের সিনেমার প্রচারে ব্যয় কত?

ভারতে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি চাঙ্গা করছে মদ!

  • Update Time : বুধবার, ৬ মে, ২০২০
  • ২২৬ Time View

সমাজে মাতালদের নিয়ে কম রসিকতা প্রচলিত নেই। মদ্যপান নিয়েও সমাজের ভিতর নানা ছুতমার্গ আছে। কিন্তু সেই মদই এখন কার্যত ভারতের দুঃসময়ের ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা-লকডাউনে যখন অর্থনীতি ধুঁকছে, তখন দুই দিনে রাজ্যগুলির হাতে বড় অঙ্কের রাজস্ব তুলে দিয়েছে মদ।

পরিসংখ্যানের বেরসিক হিসেব নিকেশে ঢোকার আগে একটু পরিস্থিতির দিকে তাকানো যাক। গত ২৪ মার্চ থেকে দেশের সর্বত্র বন্ধ ছিল মদের দোকান। কিন্তু তাই বলে কি বন্ধ ছিল মদ্যপান? মোটেই না। রাজধানী দিল্লিতে চার থেকে পাঁচ গুণ দামে ব্ল্যাকে বিক্রি হয়েছে মদ। কীভাবে বিক্রি হয়েছে? মধ্য দিল্লিতে জমি-বাড়ির ব্যবসায় ছোটখাটো কাজ করতেন রবি। মাস গেলে খাওয়া-পড়ার টাকা উঠে যেতো। লকডাউন শুরু হওয়ায় কাজ বন্ধ হয়েছে। অগত্যা স্বামী-স্ত্রী মিলে তরি-তরকারি বিক্রি করতে শুরু করেন। কিন্তু তার মতো আরও অনেকেই কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে একই ব্যবসায় নেমে পড়েন। ফলে সেখান থেকেও লাভ হচ্ছিল না বিশেষ। তখনই ব্ল্যাকে মদ ডেলিভারির কাজ শুরু করেন রবি। হরিয়ানা বর্ডারে মদের গুদাম থেকে চার গুণ দামে বোতল কিনে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে শুরু করেন। প্রতি বোতলে দু’শো থেকে তিনশো টাকা বকশিশ। পুলিশের ভয় থাকলেও ব্যবসা মন্দ চলছিল না। সোমবার থেকে মদের দোকান খুলে যাওয়ায় সেই রবিরাই এখন লাইন দিচ্ছেন সরকারি মদের দোকানের বাইরে। ওই একই বকশিশে মদ পৌঁছে দিচ্ছেন মধ্যবিত্তের ঘরে ঘরে। ফলে করোনা লকডাউনের ভয়াবহ সময়ে হাতে কিছু টাকা আসছে।
শুধু রবিরাই নয়, সরকারও বুঝতে পেরেছে, অর্থনীতির এই বেহাল অবস্থার মধ্যে মদ থেকে রাজ্য সরকারগুলি ভালোই রোজগার করতে পারে। সম্ভবত সেই কারণেই, মদের দোকানের বাইরে বিপুল লাইন হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যগুলি দোকান বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছে না। একটা জনপ্রিয় ডিটারজেন্টের বিজ্ঞাপনের ট্যাগলাইন হলো– দাগ ভালো। রাজ্য সরকারগুলি মুখে বলছে না বটে, তবে ওই ট্যাগলাইন একটু বদলে দিলেই তাঁদের মনোভাব ধরা পড়বে– মদ ভালো। যত বেশি মদ, তত সরকারের ঘরে টাকা। কারণ, মদ বিক্রির রাজস্ব ঢুকছে রাজ্য সরকারি কোষাগারে। কত সেই পরিমাণ?
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে ভারতের ২৯টি রাজ্য এবং দিল্লি ও পুঁদুচেরীর মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল একত্রে মদ থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করেছিল এক লাখ ৭৫ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। গত বছরের তুলনায় যা ১৬ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলির পরিকল্পনা ছিল শুধুমাত্র মদ থেকে বছরে ১৫ হাজার কোটি রাজস্ব আদায় করা। যা রাজ্যের মোট রাজস্ব আদায়ের ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ। বিভিন্ন রাজ্যের অর্থ দপ্তরের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থ বর্ষে উত্তরপ্রদেশ মদ বিক্রি থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করেছে ৩১ হাজার কোটি টাকা। কর্ণাটক প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। মহারাষ্ট্র প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। এ বছর যা আরও বাড়বে বলেই রাজ্যগুলি আশা করেছিল। কিন্তু করোনা এবং তার জেরে লকডাউনের কারণে প্রথম এক মাসে সেই অর্থ আয় করতে পারেনি রাজ্যগুলি। একত্রে রাজ্যগুলির প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। অন্য খাতেও রাজস্ব আদায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কারণ, লকডাউনের জন্য উৎপাদন ক্ষেত্র কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পেট্রল, ডিজেলের বিক্রি কমেছে। সাধারণত, পেট্রোলিয়াম থেকে সব চেয়ে বেশি রাজস্ব আয় করে রাজ্যগুলি। মদ দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থানে। ফলে সার্বিক ভাবেই অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে।

মদের রাজস্ব মেলেনি। কিন্তু তাই বলে ব্ল্যাকে মদ বিক্রি বন্ধ হয়নি। এটা বুঝতে পেরেই বিভিন্ন রাজ্য কেন্দ্রের কাছে মদের দোকান খোলার জন্য আবেদন জানায়। গত সোমবার থেকে কেন্দ্রও সেই অনুমতি দিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এর ফলে মাত্র দুই দিনেই বিপুল লাভ দেখতে শুরু করেছে রাজ্যগুলি। শুধু সোমবারেই উত্তরপ্রদেশে ১০০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। আসামের মতো ছোট রাজ্যে অঙ্কটা ৮০ কোটি টাকা। কর্ণাটকে সোমবার বিক্রি হয়েছিল ৪৫ কোটি টাকার মদ। মঙ্গলবার তা রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছে, ১৯৭ কোটি টাকা। অন্ধ্রে ৬৮ কোটি টাকা। প্রথম দিন মদের চাহিদা দেখেই রাজ্যগুলি স্থির করে ফেলে এখান থেকেই অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর প্রাথমিক রাস্তা খুঁজে বার করতে হবে। মঙ্গলবার থেকে দিল্লি মদের ওপর ৭০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক ধার্য করেছে। পশ্চিমবঙ্গ ৩০ শতাংশ, অন্ধ্র ৭৫ শতাংশ, রাজস্থান ১০ শতাংশ। প্রায় প্রতিটি রাজ্যই নিজেদের মতো করে অতিরিক্ত শুল্ক বসিয়েছে। বলা হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় এই শুল্ক বসানো হয়েছে। ফলে বুধবার থেকে প্রতিদিন আরও বেশি রাজস্ব ঢুকবে সরকারের কোষাগারে। করোনা মোকাবিলায় যে অর্থ ব্যবহার করা হবে। সাহায্য পাবেন গরিব মানুষ। তাই রাজ্য সরকারের কাছে, মদ ভালো।
রসিকরা বলছেন, মদ যে এ ভাবে ত্রাণকর্তা হয়ে উঠতে পারে, করোনা না এলে তা বোঝাই যেতো না। কঠিন পরিস্থিতিতে মাতালরা তাই বিশেষ সম্মান অর্জন করে ফেলেছেন। তাঁদের দূরছাই করার প্রশ্নই নেই। বরং তাঁরা আরও দুই পাত্তর খেলে রাজ্য সরকারগুলি খুশিই হবে। খবর ডয়চে ভেলে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com