ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নতুন আঙ্গিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দিষ্ট হারে আমরা মাসিক চার্জ নির্ধারণ করে দিয়েছি। কোথাও এই হারের ব্যত্যয় করা যাবে না। কোন পিসিএসপি বাসা-বাড়ি থেকে ১০০ টাকার বেশি চার্জ আদায় করতে পারবেন না। সোমবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে পিসিএসপির কাজের বিষয়ে এক মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
ঢাকাবাসীর একটি বড় অংশ এখনও উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলায় অভ্যস্ত উল্লেখ করে তাপস বলেন, ঢাকা একটি রাজধানী। রাজধানীর শহর হিসেবে এটার মর্যাদা ও সম্মানকে অনুধাবন করতে হবে। তার জন্য এই নিয়মাবলীকে (নতুন আঙ্গিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। নতুন আঙ্গিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সূচি আমরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্ধারণ করেছি। শুরুতে অনেকেই এই সূচি যথাযথভাবে পরিপালন করতে চাইবে না।
কিন্তু আপনাদেরকে যথাযথভাবে আমাদের এই সূচি পালন করতে হবে এবং জনগণকেও সে সূচি পালন করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
পিসিএসপিদেরকে বর্ধিত হারে বিনিয়োগ ও জনবল নিয়োগ করার নির্দেশনা দিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, কোথাও কোথাও এখনো দিনের বেলায় বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিষ্কার করা হচ্ছে। এর মানে হলো, আপনারা একাজে এখনো যথাযথভাবে বিনিয়োগ করেননি। আমাদের সূচির বাইরে কিছুই করা যাবে না। তাই এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য আপনারা আরও বেশি জনবল নিয়োগ করুন এবং বেশি বিনিয়োগ করুন। তাহলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আপনারাও অধিক লাভবান হবেন।
এ সময় উপস্থিত কাউন্সিলরদেরকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমসহ করপোরেশনের সকল কার্যক্রমে তাদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে পুরোপুরি সুস্থ ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসা হবে। ২০২২ সালে ঢাকা শহরকে কেউ আর বর্জ্যের শহর বলতে পারবে না। সেজন্য আগামি দিনগুলোতেও আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।