নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চলছে ইন্টারনেট কেবল কাটারি অভিযান। কোন রকম অগ্রিম নোটিশ ছাড়াই কাটা হচ্ছে কেবল কানেকশন। এতে ইন্টারনেট ক্যাবল অপারেটররা হতাশ ও দিশাহীণ হয়ে পরছে। গত সপ্তাহে রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, মৌচাক, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্যাবল কাটা হয় যার পরিনামে জনসাধারণ ও অফিস আদালত হঠাৎ করেই বিপাকে যায়। এখন অনেক কিছুই ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। সেদিনও আমাদের স্বদেশ নিউজ২৪.কমের অফিসিয়াল ইমেইলে ও ফেসবুক পেজে অনেকেই এই তথ্য জানান এবং সরকারের কাছে তুলে ধরার অনুরোধ করেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর স্বদেশ নিউজ২৪ এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রেডিও স্বদেশ ডট নেটে বিশ্ব ফিজিওথেরাপী দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ লাইভ ছিল যা হঠাৎ ইন্টারনেট সংযোগ চলে যাওয়াতে সেই লাইভটি নিয়ে বিপাকে পরতে হয়। সকল ক্যাবল ব্যবসায়ীদের সরকার ও সিটি কর্পোরেশনের কাছে আকুল অনুরোধ একটি বিকল্প ব্যবস্থা না করে ও কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে যেন ক্যাবল লাইন না কাটা হয়।
আজ দক্ষিণ বনশ্রীতে সিটি কর্পোরেশন কোন ধরনের অগ্রিম নোটিশ ছাড়াই আবার ক্যাবল কাটা হয়। এতে অনেক ক্যাবল ব্যবসায়ীরা চিন্তিত ও হতাশ তারা অনেকেই স্বদেশ নিউজ২৪ এর সংবাদ প্রতিনিধিতের কাছে অভিযোগ জানায় এবং সরকারের কাছে বিকল্প ব্যবস্থা নেবার জন্য অনুরোধ জানায়। তারা এই কর্মকান্ডের বিরোধীতা করছেন না বরং সাপোট করছেন কিন্তু হঠাত করে এভাবে ক্যাবল লাইন কাটা হলে তারা বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
দক্ষিণ বনশ্রীর একজন ক্যাবল ব্যবসায়ী স্বদেশ নিউজ২৪কে জানান- আজ সিটি কর্পোরেশন কোন ধরনের অগ্রিম নোটিশ ছাড়া এবং বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করেই তাদের অমানবিক বর্বর তাণ্ডব চালায়।।।
অথচ করোনা মহামারীর সময়টাতে যখন চতুর্দিকে লকডাউন,, সবাই ঘরে বসে লকডাউন পালন করে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যাস্ত তখন ইন্টারনেট কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা ঘাটে কাজ করে দেশকে ডিজিটালি সচল রেখেছে।
তার বিনিময়ে এখন এই প্রতিদান? অন্তত বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করে, নির্দিষ্ট কিছু দিনের সময় দিয়ে তারপর এই ধরনের আচরণ করতে পারতো।।।
এই ক্যাবল কাটার কারনে প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে, আইএসপি কোম্পানিগুলো লোকসানে পড়ে আজ দিশেহারা,, সল্প পুঁজির ব্যবসায়ীদের পথে বসার উপক্রম।
তাছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা না করে এভাবে কেবল কেটে সাধারন জনগণদেরও ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।।।
যারা দায়িত্বশীল হয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে উনাদের কি উচিৎ ছিল না যে আগে ইন্টারনেট যোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করে বিকল্প কোন ব্যবস্থা কোরে তারপরে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে হাত দেওয়া????
আরও একজন আইএসপি প্রোভাইডর জানান- এই করোনাকালে যেখানে স্কুলগুলো বন্ধ, কোচিং গুলো বন্ধ,বাচ্চারা বাসায় বসে অনলাইনে ক্লাস করছে, অনেকে পরীক্ষা দিচ্ছে ,অনেকে অনলাইন জব করছে, অনেকে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য করছে। অনেকেই আছেন যাদের চাকরি হারিয়েছেন এই করোনা কালে। তারা অনলাইনে ব্যবসা করে সংসার চালাচ্ছেন। অনেকে দোকানের খাদ্যদ্রব্য/পণ্য সামগ্রী এখন অনলাইন ক্রেতাদের কাছে বিক্রির উপরই নির্ভর করে আছে।এই সময় দেশের মানুষের দিকে সাহায্যেরহাত বাড়ানটাই বেশি দরকার ছিল, দেশর সৌন্দর্য রক্ষাটা এখানে ম্যান্ডেটরি না। দেশের সৌন্দর্য রক্ষার পদক্ষেপ গুলো কিছুটা সময় নিয়ে করা যেতে পারত?। একে কি বলা যেতে পারে ,ডিজিটাল দেশের ডিজিটাল চিন্তাধারা???