দেশের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলায় আবার সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে এ জেলার খেটে খাওয়া ও সাধারণ মানুষেরা। অন্যদিকে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনের ব্যবস্থা না থাকায় পানিবন্দী জীবনযাপন করছে পঞ্চগড় পৌরসভা কয়েকটি এলাকার মানুষ।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলার ৫ উপজেলায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এবং তা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১২ টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এ বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে চরম বিপাকে দিন পার করছে এ জেলার খেটে খাওয়া ও সাধারণ মানুষেরা। বৃষ্টির কারণে অনেকে কাজে যেতে পারছে না আর যারা কাজের সন্ধানে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বের হয়েছেন তারাও কাজ না পেয়ে বাড়ির পথে রওয়ানা হয়েছেন। অন্যদিকে মুষলধারে বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণে কারণে পঞ্চগড় পৌরসভার কামাতপাড়া, ডোকরোপাড়া ও ইসলামবাগসহ কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে ফলে শত শত পরিবার পানিবন্দী জীবনযাপন করছে।
শুধু তাই নয় পঞ্চগড় পৌরসভা কর্তৃক পানি নিষ্কাশনের জন্য তৈরি ড্রেনের অবস্থা নাজেহাল ও পানি নিষ্কাশনে ব্যর্থ হওয়ায় পানি নিষ্কাশন না হয় না, যার ফলে শুধু মানুষের বসতবাড়ি নয় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল, পানি উন্নয়ন বোর্ড, খাদ্যগুদাম সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের ভবনের সামনে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
এবিষয়ে কথা হয় পঞ্চগড় পৌরসভার বাসিন্দা প্রদীপ রায়ের সঙ্গে। তিনি জানান, পঞ্চগড় পৌরসভার ড্রেনের সমস্যার কারণে পানি যেতে পারে না ফলে আমাদের এলাকায় শহরের সকল পানি আসে জমাট হয় ফলে আমরা শতশত পরিবার আজ পানিবন্দী জীবনযাপন করছি পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলদের বার বার বলার পরও কাজে আসছে না।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, আজ শুক্রবার দুপুর ১২ টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত আরও দুই/একদিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র তৌহিদুল ইসলাম জানান, নগর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বড় কয়েকটি ড্রেন নির্মাণের লাজ শেষ হয়েছে। পৌরসভার কিছু মানুষ তাদের বাড়ির ময়লা আবর্জনা ড্রেনে ফেলছেন আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মীরা ড্রেনগুলো পরিষ্কার করেছে। তারপরও ড্রেনের ময়লা, পানি নিয়ন্ত্রণ করার কঠিন হচ্ছে৷ জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।