বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে খুলে দেয়া হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। হাসপাতালের পরিচালক জরুরি বিভাগের সামনের তালাবন্ধ ফটকটি খুলে দেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংঘর্ষের পর জরুরি বিভাগে সেবা প্রদান বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় পুলিশের রমনা জোনের এসি শিবলী নোমান জানিয়েছেন, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজার রহমানের কক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এতে সিদ্ধান্ত হয় আধা ঘণ্টার মধ্যে জরুরি বিভাগ খুলে দেয়ার।
শিবলী নোমান আরো বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলাকারী শিক্ষার্থীদের আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর দোষী ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
দুপুর দেড়টায় চিকিৎসকদের লিফটে ওঠাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এর পর থেকেই মূলত জরুরি বিভাগের সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের ছাত্রলীগের সেক্রেটারি সিরাজের মা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-২-এর একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হলের জসিম ও আশিককে নিয়ে সিরাজ তার মাকে দেখতে আসেন। তারা ডাক্তারদের লিফট ব্যবহার করে ওপরে ওঠেন। এ সময় লিফটের ভেতরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনারা কারা? এই লিফটে উঠেছেন কেন?’ এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আশিক ও জসিমকে বেধড়ক পেটায়। এতে আশিক ও জসিমের মাথা ফেটে যায়। পরে আনসার সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। এ সময় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজার রহমান বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেন। কিন্তু কোনো পক্ষই এ সময় মীমাংসায় রাজি হয়নি। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রড, লাঠিসোঁটা দিয়ে জরুরি বিভাগের বিভিন্ন কক্ষে হামলা চালান।