বাল্যবিবাহে বাধা পেয়ে অনুষ্ঠান ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বর ও বরযাত্রী। সেইসঙ্গে বাল্যবিবাহের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে ফাতেমা বেগম (১২) নামের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী। গতকাল সোমবার রাতে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার গোমনাতি ইউনিয়নের উত্তর গোমনাতি গুয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটে। এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাতে ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ গোমনাতী গ্রামের মুছাব আলীর ছেলে বিপুল আলীর (১৮) বিয়ের আয়োজন করে দুই পরিবারের লোকজন। রাত ৮টায় বরযাত্রীসহ বর আসেন কনের বাড়িতে। গোমনাতি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রবিউল আলম রাব্বি জানান, অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউর রহমানের নির্দেশে তিনিসহ ডোমার থানার এসআই শাহিনুল ইসলাম সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ের আয়োজন ছেড়ে বর, বরযাত্রী ও কনের বাবা পালিয়ে যান। এ সময় তাদের ডেকে এনে মুচলেকা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়। ডোমার থানার ওসি কফিল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।