ইন্দোনেশিয়ার বান্দা আচে প্রদেশে এক নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হলেও অনাকাঙ্খিত যৌন সম্পর্কের দায়ে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। বিধবা ওই নারী আরেক বিবাহিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন এ অভিযোগ এনে আরো ৮ ব্যক্তি তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষকরা ওই বিধবা নারীকে তার প্রেমিকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে এবং এরপর তারাও তাকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষকরা ২৫ বছরের ওই বিধবা নারীর ৪০ বছর বয়সী প্রেমিককে ধরে তার হাত পা বেঁধে রাখে। তাকে মারধর করে এবং তার সামনে ওই বিধবা নারীকে পাশবিক নির্যাতন চালায় ৮ ব্যক্তি। যাদের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর রয়েছে। উপরন্তু তারা ওই বিধবা নারীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পুলিশ বিধবা নারীর বিরুদ্ধে শরীয়া আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনে।
এদিকে পুলিশ ধর্ষক ৮ ব্যক্তির মধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়। অথচ তাদের বিরুদ্ধে শরীয়া আইনের আওতায় বিচারের ব্যবস্থা না নিয়ে অপরাধ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। লাঙসা শহরের শরীয়া আইনের প্রধান ইব্রাহিম লতিফ বলেন, বিধবা নারীকে ওই ৮ ব্যক্তি ধর্ষণ করলেও সে বিয়ে বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের দায় থেকে মুক্তি পাবে না। সে অনুযায়ী প্রকাশ্যে বিধবা নারী ও তার প্রেমিককে ৯ ঘাঁ চাবুক মারা হয়। ইব্রাহিম বলেন, বিধবা নারী ও তার প্রেমিক তাদের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেছেন এবং ওই ব্যক্তি বিবাহিত ও তার ৫টি ছেলেমেয়ে আছে।
বাকি ৫ ধর্ষক পলাতক রয়েছে। তবে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে শরীয়া আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়নি। ইন্দোনেশিয়া এধরনের অপরাধে শরীয়া আইনে বিচার নতুন নয়। লাংসা শহরেই ২০১০ সালে কুড়ি বছরের এক মেয়েকে তার ছেলে বন্ধুর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তিন শরীয়া পুলিশ সদস্য ধর্ষণ করে। এরপর দুজন পুলিশ সদস্যকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত ও ৮ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হলেও আরেক পুলিশ সদস্যকে এখনো ধরা সম্ভব হয়নি।