1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
“কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২” এর বাস্তবায়ন কোথায় ? - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
যশোরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেলের জয়লাভ গোবিন্দগঞ্জে অটোচালক দুলা হত্যার মূল আসামি আটক চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু পলাশবাড়ীতে উপজেলা নির্বাচনে অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিএনপি বলে বিরোধীদল দমন’ এবার বুবলী-শাকিবের ‘কোয়ালিটি টাইম’ নিয়ে মুখ খুললেন অপু বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো: সিপিডির রেহমান সোবহান চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে যা বললেন নিপুণ তালিকা দিতে না পারলে ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে বললেন ওবায়দুল কাদের প্রকাশিত হলো দিদারের ‘বৈশাখ এলো রে এলো বৈশাখ’ আ.লীগের মতো ককটেল পার্টিতে বিশ্বাসী নয় বিএনপি: রিজভী হৃদয় খানের সঙ্গে জুটি ন্যান্সিকন্যা রোদেলার শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে ভাবতে পারি না: বুবলী শাকিবের এমন সময় আমাদেরও ছিল: ওমর সানী

“কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২” এর বাস্তবায়ন কোথায় ?

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০১৪
  • ৪৪০ Time View

5397profile[1]শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড । একটি জাতি যত বেশি শিক্ষিত হবে তত বেশি উন্নত হবে । প্রত্যেক অভিভাবক তার সন্তানকে যুগোপোযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান । নিজ নিজ সন্তান মেধায় মননে অন্যদের সাথে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকুক সেটা প্রতিটি অভিভাবকের একান্ত কাম্য । তাই অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বনামধন্য শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে রাখতে চেষ্টা করেন । বাংলাদেশের আয়তন এবং জনসংখ্যার তুলনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক কম । কাজেই উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে যেমন প্রতিটি ক্লাশের জন্য নির্ধারিত আসন থাকে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সে রকম খুব একটা চোখে পড়ে না । দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেণী কক্ষের অধিকাংশতেই অধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা যায় । যার ফলে শিক্ষক যখন লেকচার দেন তার সে লেকচার ক্লাস রুমের পিছনের দিকে না পৌঁছানোটাই স্বাভাবিক । যার কারনে ক্লাসের কিছু ছাত্র শিক্ষকের লেকচার বুঝে পড়া আত্মস্থ করতে পারলেও অধিকাংশ ছাত্রই শিক্ষকের লেকচার শুনতে কিংবা বুঝতে পারে না । যার কারনে অভিভাবকদেরকে তাদের সন্তান নিয়ে ভাবনায় পড়তে হয় এবং ক্লাস শেষে বিভিন্ন কোচিংয়ের দ্বারস্থ হতে হয় । একটা সময় ছিল যখন কোচিংকেও ক্লাসের অংশ বলে ধারনা করা হত । সময়ের তালে তালে কোচিং তার অতীতের মহিমা হারিয়ে অর্থ বাণিজ্যে রুপ লাভ করেছে । দেশের অসাধু শিক্ষকদের অর্থলোভ এর পিছনে অনেকাংশেই দায়ী । দিনের পর দিন কোচিং ফি বেড়েই চলছে । যে কারনে বিত্তবানদের সন্তানরা ক্লাস কিংবা কোচিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষা অর্জন করতে পারলেও গরীবরা তাদের সন্তানদেরকে অতিরিক্ত ব্যয় বহন করে কোচিংয়ে ভর্তি করাতে পারছে না । এমনি এক অবস্থায় ২০১২ সালে কয়েকজন অভিভাবক হাইকোর্ট বিভাগে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে রিট পিটিশন রুজু করে । যাতে উল্লেখ করা হয় “দেশের সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের (নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়,কলেজ-উচ্চ মাধ্যমিক স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর) মাদ্রাসা ( দাখিল, আলিম, ফাজিল, কামিল) ও কারিগরি-এ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের এক শ্রেণীর শিক্ষক বানিজ্যিক ভিত্তিতে কোচিং পরিচালনা করে আসছে । এটি বর্তমানে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা কোচিং বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন; যা পরিবারের উপর বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে এবং এ ব্যয় নির্বাহে অভিভাববগণ হিমশিম খাচ্ছেন । এছাড়া অনেক শিক্ষক পাঠদানে মনোযোগী না হয়ে কোচিংয়ে বেশী সময় ব্যয় করছেন । এতে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকগণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন” । এ সংক্রান্ত মাননীয় হাইকোর্টে রিট পিটিশন যার নম্বর ৭৩৬৬/২০১১ এর আদেশের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোচিং বাণিজ্য বন্ধে একটি গেজেট নোটিফিকেশন প্রদান করে । যা পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয় কোচিং বাণিজ্য বন্ধে কিছু নীতিমালা প্রনয়ণ করে । যে নীতিমালাকে “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২” নামে অভিহিত করা হয় ।

 

এ নীতি মালায় কোচিং বানিজ্যের সংজ্ঞা ছিল, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলাকালীন শিক্ষকের নির্ধারিত ক্লাশের বাইরে বা এর পূর্বে অথবা এর পরে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে/বাইরে কোন স্থানে পাঠদান করাই কোচিংয়ের আওতাভূক্ত হবে” । সরকার এবং দেশের জনগণ বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সম্যক অবহিত হওয়ার কারনে শিক্ষার্থীরা যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে তার জন্য কতগুলো শর্ত এবং সুযোগ শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালায় সংযোজন করে দেয়া হয় । সে সকল শর্তের মধ্যে অন্যতম ছিল, “আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ে পূর্বে বা পরে শুধু অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান অতিরিক্ত ক্লাশের ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবেন । তবে এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ে মেট্রোপলিটন শহরে মাসিক সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা, জেলা শহরে ২০০ টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ে বা স্থানীয় পর্যায়ে ১৫০ টাকা রশিদের মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় ক্লাশ পরিচালনার জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ফি আকারে গ্রহন করা যাবে । যা সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার অধিক হবে না । দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান এ হার কমাতে/মওকুফ করতে পারবেন । একটি বিষয়ে মাসে সর্বনিম্ন ১২ টি ক্লাস অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং প্রতিটি ক্লাসে সর্বোচ্চ ৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করতে পারবে । শিক্ষার্থীদের থেকে উত্তোলিত ফির ১০% প্রতিষ্ঠানের পানি, বিদ্যুত, গ্যাস এবং সহায়ক কর্মাচারীদের জন্য রেখে বাকী ৯০% অতিরিক্ত ক্লাস পরিচালনায় নিয়োজিত শিক্ষকদের মাঝে বণ্টন করতে হবে । উল্লেখিত দু’ই খাত ছাড়া অন্য কোথাও এ টাকা ব্যয় করার কোন সুযোগ নাই” । এ নীতিমালার বাইরে আরও কতগুলো নীতিমালা শিক্ষামন্ত্রানলয় প্রনয়ণ করে । তা হল-

 

*কোন শিক্ষক তার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে কোচিং করাতে পারবে না । তবে প্রতিষ্ঠান প্রধানের পূর্ব-অনুমতি সাপেক্ষে দৈনিক বা প্রতিদিন অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষাথীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন । এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীর তালিকা (শ্রেণী ও রোল নম্বর) প্রতিষ্ঠান প্রধানকে লিখিত আকারে জানাতে হবে ।

* কোন শিক্ষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা কোন কোচিং সেন্টারে নিজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত হতে পারবেন না বা নিজে কোন কোচিং সেন্টারের মালিক হতে পারবেন না বা কোচিং সেন্টার গড়ে তুলতে পারবেন না ।

* কোন শিক্ষক কোন শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে উৎসাহিত বা উদ্বুদ্ধ বা বাধ্য করতে পারবেন না । এমনকি কোন শিক্ষক/শিক্ষার্থীর নাম ব্যবহার করে প্রচার/প্রচারনা চালাতে পারবেনা ।

* কোচিং সেন্টারের নামে বাসা ভাড়া নিয়ে কোচিং বাণিজ্য পরিচালনা করা যাবে না ।

 

 

যারা বা যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোচিং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উপোরোক্ত নীতিমালা ভঙ্গ করবে তাদের জন্য “কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালায় শাস্তির সুপারিশ এবং শাস্তির ধরন প্রকাশ করা হয়েছে। যা হল-

 

  • এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভূক্ত কোন শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকলে তার এমপিও স্থগিত, বাতিল, বেতন-ভাতদি স্থগিত, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত, বেতন একধাপ অবনমিতকরণ, সাময়িক বরখাস্ত, চুড়ান্ত বরখাস্ত ইত্যাদি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ গ্রহন করতে পারবে ।
  • এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিও বিহীন কোন শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকলে তাঁর প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত বেতনা-ভাতাদি স্থগিত, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত, বেতন একধাপ অবনমিতকরণ, সাময়িক বরখাস্ত, চুড়ান্ত বরখাস্ত ইত্যাদি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে ।
  • এমপিওবিহীন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকলে তাঁর প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত বেতনা-ভাতাদি স্থগিত, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত, বেতন একধাপ অবনমিতকরণ, সাময়িক বরখাস্ত, চুড়ান্ত বরখাস্ত ইত্যাদি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে ।
  • কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ গ্রহন না করলে সরকার পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দেয়াসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি, অধিভূক্তি বাতিল করতে পারবে ।
  • সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধি মালা ১৯৮৫ এর অধীনে অসাদাচরণ হিসেবে গণ্য করে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।

এ অপরাধের জন্য বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলার শিক্ষা অফিসার কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তিবর্গ এ শাস্তি প্রদান করতে পারবে ।

 

কোচিং বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সরকার প্রণীত নীতিমালা অত্যন্ত সময় উপযোগী । যা প্রণয়ণের পর শিক্ষার্থীসহ সকল অভিভাবকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল । কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ২০১২ সালে জুন মাসের ২০ তারিখ শিক্ষা সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চোধুরী স্বাক্ষরিত “শিক্ষক কোচিং বাণিজ্য নীতিমাল” দীর্ঘ দু’ই বছর পেরিয়ে গেলেও কোন এক অদৃষ্ট শক্তির কারনে কার্যকর হয় নি । বরং কোচিংয়ের উৎপাতে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা অতীতের তুলনায় আরও অতিষ্ট হয়ে উঠেছে । জেলা, বিভাগীয় এবং রাজধানী শহরের কয়েক গজ পর পর বাঙের ছাতার গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য কোচিং সেন্টার । অভিভাবকদের এবং শিক্ষার্থীদেরকে জিম্মি করে অসাধু শিক্ষকরা তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন । এ কোচিং সেন্টারের অভিশাপের ফলে দেশের স্কুল কলেজ গুলোর পাঠদান কক্ষের শিক্ষার মান প্রতিনিয়তই কমে আসছে । যদি শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বর্তমানের মত লাগামহীন ভাবে চলতে থাকে তবে নিকট ভবিষ্যতে স্কুল-কলেজের প্রতি আস্থা হারিয়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা সম্পূর্ণভাবেই কোচিংয়ের দ্বারস্থ হবেন । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুধু সনদ অর্জনের মাধ্যম থাকবে । তথায় শিক্ষার কোন কারবার থাকবে না । এ ব্যাপারে সরকারের সচেতানতার সাথে মনোযোগী হওয়া আশু আবশ্যক ।

 

সরকার যদি মনে করে, ২০১২ সালে প্রদত্ত “শিক্ষক বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালায়” কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা দরকার তবে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করে কোচিং বাণিজ্যকে একটি রুপরেখায় আনা দরকার । তা না হলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অচিরেই হুমকীর মূখে পরবে । মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কোচিং বাণিজ্য বন্ধের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, “শিক্ষক তার ছাত্রকে আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে বা কোচিং সেন্টারে পড়াতে পারবেন না । যদি পড়াতেই হয় তবে ক্লাশ শেষে স্কুলেই পড়াতে হবে” । দেশবাসী আশা নয় বিশ্বাস করে সফল শিক্ষামন্ত্রীর এ আশ্বাস নিষ্ফল হবে না । তাইতো সরকারের কাছে বিনীত আরজ, অনতিবিলম্বে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করে শিক্ষার্থীদেরকে শ্রেণীকক্ষে ফিরিয়ে আনার পরিবেশ সৃষ্টি করুন । যদি এটা বাস্তবায়ন সম্ভব না হয় তবে শিক্ষা ক্ষেত্রের নৈতিকতা একেবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে । কোন জাতির বিবেক খ্যাত শিক্ষকদের নৈতিকতা যদি ধ্বংস হয়ে যায় তবে তা কোন জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না । অতীতেও পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না । সরকার অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং কোচিং শিক্ষার পার্থক্য অনুধাবন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে ।

 

 

রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।

raju69mathbaria@gmail.com

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com