একেই বলে তীরে এসে তরি ডোবা! তাও আবার যেমন-তেমন তরি নয়, একেবারে সোনার তরি! ব্যস, ভরপুর ভরাডুবি! তা কার এমন কপাল পুড়ল? আর সোনার তরি ডুবলই বা কেমন করে?
সোনার তরির চালক যদি স্বস্তিকা মুখুজ্জ্যে হয় আর তীরে যদি পরমব্রত চাটুজ্জ্যে ছড়ি হাতে দাঁড়িয়ে থাকে, বলি ওই তরি কস্মিনকালে তীরে ভিড়বে কখনও? ও সোনার তরি তো ডুববেই!শুধু ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে বলা যা বাকি ছিল- স্বস্তিকা-পরম আবার একসঙ্গে ছবি করছেন! যাক বাবা! প্রেম গেলেও প্রফেশনালিজম ওদের একটুও টসকায়নি! দুজনের কানে পই পই করে পাখি পড়ানোর মতো এই প্রফেশনালিজমের মন্ত্রটা মহুয়া ছুঁইয়েও রেখেছিল। মহুয়া মানে ছবির পরিচালক! অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এই প্রথমবার বিচ্ছেদের পরে স্বস্তিকা-পরম জুটির শিকেটাকে ছিঁড়তে পেরেছে মহুয়া। প্রথম ছবি ‘গ্ল্যামার’ যাতে এতটুকু ডিগ্ল্যামারাইজড না-হয়, জান লড়িয়ে দিয়েছিল মেয়েটা।
কিন্তু কপালে লিখন থাকলে সে দোষ খণ্ডাবে কে? শ্যুটিং শুরুর ঠিক কয়েকদিন আগে বেঁকে বসেন স্বস্তিকা। ও মা! অমন ঋজু মেয়ে হঠাৎ বাঁকতে শুরু করলেন কেন? ওই যে পরমের হাতে ছড়ি! তা, পরমেরই বা কী আক্কেল বলুন! অ্যাদ্দিন বাদে প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে কথা! হাতে গোলাপ না রেখে ছড়ি! এ-কেমন অলুক্ষুণে ব্যাপার!
তা, সত্যি বললে পরম বেচারারই কী বা করার আছে! ওর কোম্পানিই তো এই ছবির লাইন প্রোডিউসার! আর তাতেই না কি বেজায় চটেছেন স্বস্তিকা। সাফ জানিয়েছেন, পরম লাইন প্রোডিউসার হলে সেই ছবি তিনি করবেন না। যতই প্রেম যাক ইগো কি অত সহজে যায়? এমনটাই অন্তত বলছে টলিপাড়ার নিন্দুকের দল! তার পর?
আর কী! অনেক আহা-বাছা করেও স্বস্তিকাকে টিকিয়ে রাখা যায়নি ছবিতে। স্বস্তিকার রোলটা করছেন এখন পার্নো মিত্র। শ্যুটিংও শুরু হয়েছে মেয়েকে নিয়ে। ‘অপুর পাঁচালি’-র পর আবার পরম-পার্নো! হইহই করে শ্যুটিং এগোচ্ছে।
শুধু একটা কথা খচখচ বিঁধছে মনে! রাতের সব তারাই কি থাকে দিনের আলোর গভীরে? –ওয়েবসাইট।