মৃত্যুর পর যাঁর দিন, রাত কাটত মানুষের রক্ত খেয়ে। সেই কাউন্ট ড্রাকুলারের প্রসাদ এখন বিক্রির অপেক্ষায়। প্রসাদটির নাম কাসল ব্রান। এই প্রাসাদই রাজকুমার ভ্লাদের ডেরা।
প্রাসাদের তিন মালিকের বয়স ৭০ ছাড়িয়েছে। রুমানিয়া সরকারের কাছে তাঁরা এই প্রাসাদ বিক্রি করতে চেয়েছিলেন আট কোটি মার্কিন ডলারে। সুবিধা করতে না পেরে দায়িত্ব দিয়েছেন এক মার্কিন সংস্থাকে।
এই কাল্পনিক রক্তচোষা পিশাচের পূর্বপুরুষরা অমরত্ব পায় ব্রাম স্টোকারের কলমের জোরে। এই প্রাসাদে ১২২১ সাল থেকে থাকতে শুরু করেন তারা। ক্রুসেড চলার সময় এই প্রাসাদের বাসিন্দারা বছরের পর বছর এই এলাকায় তুর্কি সেনাদের ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন। সেই সময়ের পটভূমিকাতেই ড্রাকুলা চরিত্রের সৃষ্টি।
প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ পর্যটক বর্তমানে প্রতি বছর এই কেল্লায় আসে। কেল্লার সেই উঠান ঘুরে বেড়ায় পর্যটকরা, যেখানে নাকি ঘুরে বেড়াত কাউন্টের অনুগত নেকড়ের পাল। দাবি করা হয়, এই কেল্লার কয়েক ডজন শয়নকক্ষের মধ্যে কয়েকটিতে নাকি এমন অনেকের আনাগোনা আছে যাঁদের ঠিক মানুষ বলা যায় না।