ফিরোজ আলম ভূঞাঁ রিগান, বিশেষ প্রতিনিধি :
বিশেষ প্রতিনিধি : সৌদি আরবে রিয়াদে শোফা কারখানায় আগ্নিকান্ডে ৯ বাংলাদেশী ও ২ ভারতীয় নাগরিকের মধ্যে জাকির হোসেনের পরিচয় পাওয়া গেছে। সে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের বক্সআলী মিয়াজী বাড়ির মৃত সাহাব উল্যার বড় ছেলে। তার শ্বশুর বাড়ি ফেনী জেলার দাগুনভ্ঞূাঁ উপজেলার এনায়েত নগর গ্রামে। তিনি পাসপোর্টে ফেনীর ঠিকানা ব্যবহার করে ১৯৯৯ সালে সৌদিতে যান।
তার দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে নাসরিন আক্তার (১৬) শের-ই-বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়েছে। তার পরীক্ষার ফল জানতে পারলেন না তার বাবা। ছোট মেয়ে নাইমা আক্তার (৯) সেবারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী । বাবার ছবি বুকে ছড়িয়ে কান্না করছে জাকিরের দুই মেয়ে। গত সাড়ে তিন বছর আগে তাদের বাবা সফরে বাড়িতে এসে তাদের সুখের জন্য পুনরায় সৌদিতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরবেন তা তারা কখনও ভাবেনি । স্বজনদের আতœনাদে ভারী হয়ে উঠছে পুরো গ্রামের বাতাস ।
উলেখ্য গত সোমবার সৌদি আরবের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় রিয়াদে একটি শোফা কারখানায় আগ্নিকান্ডে ৯ বাংলাদেশী ও ২ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যূ হয়। এর মধ্যে নিহত জাকির হোসেন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের অধিবাসী।