এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি মুসা ইব্রাহীমকে নিয়ে হঠাৎই নানা প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল গতমাসে। একটি বেসরকারি টেলিভিশন এ ‘বিতর্ক’ শুরু করে। টেলিভিশনটির এক বিশেষ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেননি।
এমন বিতর্ক যখন চলছিল, তখন মুসা ইব্রাহীম ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখান থেকেই এই প্রতিবেদনের জবাবে মুসা গণমাধ্যমে বলেন, দেশের ফেরার পর এর জবাব দেব।
দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ পর মুসা ইব্রাহীম তার ফেইসবুক টাইমলাইনে ‘এভারেস্ট বৃত্তান্ত’ শিরোনামে এভারেস্ট জয় সংক্রান্ত তথ্য ও ছবি প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার টাইমলাইনে মুসা লেখেন:
‘২০১০ সাল। আমরা এভারেস্ট অভিযানে যাবো। কিভাবে যাবো জানি না। শুধু জানি – যেতে হবে। বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে যেতে হবে এভারেস্টের চূড়ায়। এজন্য ২০০৭ সালের ২৯ অক্টোবরে প্রতিষ্ঠিত নর্থ আলপাইন ক্লাব বাংলাদেশের সেøাগানই নির্ধারণ করা হয়েছিল “ঠরংরড়হ ২০১০ : গরংংরড়হ ঊাবৎবংঃ”। সেই প্রচেষ্টায় এগিয়ে যেতে ঢাকায় বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিন-রাত চেষ্টা করি কিভাবে এভারেস্ট অভিযান আয়োজন করা যায়। আর নেপালের কাঠমা-ুতে বন্ধু কোমল অরিয়াল চেষ্টা করতে থাকেন কোন্ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গেলে আমি কোনো ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়বো না। হিমালয়ান গাইডস’র মাধ্যমে আয়োজিত সেই অভিযানের সদস্যরা আগেই হাজির হয়েছিলেন তিব্বতের এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে। সেই দলে ছিলেন মন্টেনিগ্রো’র ব্লেকা, সø্যাগি, জোকো; সার্বিয়ার ডাক্তার ড্রাগুটিন, নেপালের লাল বাহাদুর জিরেল; তাইওয়ানের দু’জন এবং বাংলাদেশ থেকে আমি।
মজার ব্যাপার হলো, আমি বেস ক্যাম্পে ২০১০-এর ১৪ এপ্রিল পৌঁছানোর ৪০ দিন পর এভারেস্টের চূড়ায় যখন পা রেখেছি এবং সেখানে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছি, তখন থেকেই বাংলাদেশ ৬৭তম এভারেস্টজয়ী দেশ। এভারেস্ট চূড়া জয়ের পর সেখান থেকে নেমে আসার সময় আল্লাহর অশেষ কৃপায় এবং অস্ট্রেলিয়ার ব্রেন্ডন ও’মাহনির সহযোগিতায় যখন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি, অ্যাডভান্সড বেস ক্যাম্পে জানতে পারলাম – আমাদের দলের সবাই যে যার দেশ থেকে প্রথমবারের মতো এভারেস্ট জয় করেছি।