মাত্র ২০ ডলার দিয়ে পুরোনো ওই পালঙ্ক কিনেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বন্ধু রিজি রেখোভেন, ক্যালি গুয়াস্তি, লারা রুসো। ওরা রুমমেট। কিন্তু ঘরে সেই পালঙ্ক ঢুকিয়ে তো তাদের চক্ষু চড়কগাছ। পালঙ্কের ভেতরে একটা খামে ৪১ হাজার ডলার রয়েছে। খামে টাকার মালিকের নামও লেখা রয়েছে।
যথারীতি নীতি নৈতিকতার প্রশ্নে এ তিন বন্ধু আপোষ করলেন না। খোঁজ নেয়া হল ওই মহিলার। মহিলা স্মরণ করে বললেন, ও হ্যা আমার স্বামী মারা যাওয়ার আগে ওই টাকাগুলো আমাকে দিয়ে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ আগেও ওই তিন বন্ধু ঘরের মধ্যে এতগুলো টাকা পেয়ে এত হৈচৈ করছিলেন যে প্রতিবেশিরা মনে করেন যে ওরা হয়ত লটারি জিতেছেন।
পালঙ্কের ওপর শুয়ে তারা টেলিভিশন দেখছিলেন। হঠাৎ তাদের একজনের নজর যায় পালঙ্কের কিছুটা অংশ ছেড়া। অনুসন্ধিৎসু মন পালঙ্কের ওই ছেড়া অংশটির কাছে যেয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে বেশ কয়েক খানা খাম পেয়ে যান। যাতে ডলারে ঠাসা ছিল। গুনে দেখা গেল তা ৪১ হাজার ডলার।
৩ বন্ধুর একজন রিজি এতটাই উত্তেজিত হয়ে উঠল, সে ঠিক করে বসল তার মায়ের জন্যে একটি গাড়ি ও নৌকা কিনবে। কিন্তু খামে পরিস্কার একজন মহিলার নাম দেখে তাদের মনে নীতি ও নৈতিকতার প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করে। তাদের এ অনুভূতি হতে শুরু করে যে এ টাকা তারা অর্জন করেনি। এবং এ টাকা নেয়া মানেই তা চুরির নামান্তর।
শেষ পর্যন্ত তারা টাকাগুলো ওই মহিলার কাছে ফেরত দিয়ে আসলেন। গত এপ্রিল মাসে এ পালঙ্কটি তারা ৩ বন্ধু মিলে কিনেছিলেন। মে’ তে তার একটা দফারফা হল।
ডেইলি মেইল