ভারতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বছর বযসী এক ছাত্রী মঙ্গলবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার এই দৃশ্য সে নিজের মোবাইলে ধারণ করে গেছে। আত্মহত্যার জন্য ওই ছাত্রী উত্ত্যক্তকারীদের দায়ী করেছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব দিল্লির কৃষ্ণনগর এলাকায়। শনিবার পুলিশের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, “২০ বছরের ওই ছাত্রী মোবাইলে তার আত্মহত্যার রেকর্ড করা দৃশ্যে দেখা যায় সে কাঁদছিল। আত্মহত্যার পূর্বে সে কারণও বর্ণনা করে গেছে।
তার ভাষ্যমতে, গত কয়েকমাস ধরে স্থানীয় পাঁচ যুবক তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত ও হয়রানি করে আসছিল। তাদের নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। ভিডিওতে সে ওই পাঁচ জনের নামও উল্লেখ করেছে।
মেয়েটির বাবার অভিযোগ, “প্রতিবেশী দুই ভাই এবং তার তিন বন্ধু মিলে আমার মেয়েকে অনেকদিন ধরে জ্বালাতন করে আসছিল। তারা আমার মেয়েকে উদ্দেশ্য করে অনেক অশ্লীল মন্তব্য ও বাজে অঙ্গভঙ্গি করতো।”
এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ওই যুবকরা গত বছরের আগস্টে তার স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১২টার দিকে কাজ শেষে ঘরে ফিরে বাবা দেখেন, তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়েটি সিলিং ফ্যানে ঝুলছে। তখন তারা পুলিশকে খবর দেন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সম্প্রতি দীর্ঘ তিন বছরের প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে মেয়েটি হতাশায় ভুগছিল। পছন্দমতো গাড়ি কিনে দিতে না পারায় প্রেমিক তাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল মেয়েটি। তার আত্মহত্যার ঘটনায় প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।
তবে মেয়েটির ধারণকৃত সুইসাইড ভিডিওটি দেখার পর উত্ত্যক্তকারী পাঁচ ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় পৃথক একটি মামলা করা হয়েছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস