মরণেও প্রেমকে জীবন্ত করে রেখেছেন ওঁরা। চরম মুহূর্তেও পরস্পরকে কাছছাড়া করেননি। ক্ষণিকের জন্য আলগা করেননি স্পর্শপাশ।
১১টি অস্কারে ভূষিত ‘টাইটানিক’ ছবিতে প্রেমিক যুগল রোজ ও জ্যাকের অন্তিম পরিণতির দৃশ্য দেখে চোখের জল সামলাতে পারেননি প্রেক্ষাগৃহের দর্শকরা। রোজের হাত ছাড়িয়ে অতলান্তিকের হিমশীতল জলে অসাড় জ্যাকের শরীর ধীরে ধীরে তলিয়ে যায়, আর লাইফবোটে জায়গা পেয়ে প্রাণরক্ষা হয় নায়িকার। বাস্তবে অনেকটা একই পরিস্থিতিতে কিন্তু অন্য ছবি দেখা গেছে ইতালীয় উপসাগরে ডুবে যাওয়া এক জাহাজের প্রণয়ীদের ক্ষেত্রে।
২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে সিরিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশ্যে একটি ছোট জাহাজে রওনা দেন একদল শরণার্থী। কিন্তু ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের কাছে খারাপ আবহাওয়ার জেরে সলিল সমাধি হয় ৩০০ জনের। সম্প্রতি ওই এলাকায় ভূমধ্যসাগরের তলদেশে তল্লাসি চালায় ল্যাম্পেডুসার পুলিশ। সমুদ্রের অতলে ডুবুরিরা বিধ্বস্ত জাহাজটিকে অবশেষে খুঁজে পেয়েছেন। সাগরের নিচে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা জলযানের আশপাশে ও ভিতরে মিলেছে অসংখ্য ভাগ্যহীনের দেহ।
ডুবে যাওয়া জাহাজের এক কোণে পুলিশের ডুবুরিরা আবিষ্কার করেছেন এমনই দুই দুর্ভাগাকে। দেহ দু’টি পরস্পরকে গভীর আলিঙ্গনে বেঁধে রেখেছে। তরুণ ও তরুণী নিঃসন্দেহে প্রণয়ী, কারণ মৃত্যুর মুহূর্তেও শেষ হয়নি তাঁদের চুম্বনপর্ব। আরো আশ্চর্যের বিষয়, প্রায় সাড়ে ছয় মাস কেটে যাওয়ার পরও দেহগুলোতে পচন ধরেনি বা ঠুকরে খায়নি কোনো মাছ।
হয়তো প্রেমের চিরভাস্বর রূপ মূর্ত করে রাখতে প্রকৃতিরই এ এক অভিনব প্রদর্শন! সূত্র : এই সময়