ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে ব্যর্থ হলেও সেই চীনা কোম্পানী মেজর ব্রীজ ইঞ্জিনিয়ারিং লি:কে আজ বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর কাজ দিয়ে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। চীনা এই কোম্পানীটি স্থানীয় কোম্পানী প্রজেক্ট বিল্ডার্ড লি: পিবিএলকে সাথে নিয়ে মাওনা থেকে রাইমনি পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে তারা কোন পারদর্শিতার প্রমাণ দেখাতে পারেনি। যেকারণে শেষপর্যন্ত এটি বিলম্বিত প্রকল্পে পরিণত হয়।
২০১১ সালের জানুয়ারি মাসের চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পটির বাস্তবায়নে প্রধান ভূমিকা রাখার কথা ছিল চীনা এই কোম্পানীকে। রোডস এ্যান্ড হাইওয়ে ডিপার্টমেন্ট আরএইচডির কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮৮ কোটি টাকার এই কাজ গত বছরের জুলাই মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির মাত্র ৪৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এরআগে ২০১০সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ঢাকা-ময়ময়নসিহ মহাসড়কের সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নেয়। যে প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় পরবর্তীতে তা চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
উভয় প্রকল্পের পরিচালক বলেন, ২০১১ সালে প্রকল্পের শুরু থেকেই চীনা এই কোম্পানীর সাথে পিবিএলএর কাজে খুব একটা আগ্রহ দেখা যায় নি । রোডস এ্যান্ড হাইওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও সাবেক প্রকল্প পরিচালক ফিরোজ ইকবাল বলেন, প্রজেক্ট বিল্ডার্স লি: এর কাছে অনেক চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। এমনকি আমরা স্থানীয় ঠিকাদারদের প্রতিনিধিদের সাথে অনেক বৈঠকও করেছি কিন্তু কোন কাজ হয় নি ।
আরএইচডির প্রকৌলী ও প্রকল্প পরিচালক হাফিজুর রহমানও ফিরোজ ইকবালের সাথে সুর মিলিয়ে বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কেবল চাইনা কোম্পানীর মাত্র দুইজন কর্মকর্তা পিবিএল এর সাথে যোগ দিয়েছে। চীনা কোম্পানীটি কেন এমন দির্ঘসময় ধরে প্রকল্পের কাজে অংশ নিচ্ছে না এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে পিবিএল এর প্রজেক্ট ম্যানেজার শওকত হোসাইনও এর কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেন নি। তবে তিনি প্রকল্পের ধীরগতির জন্য দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দায়ি করে বলেন আমাদের এই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে আরো এক বছর সময় লাগবে।
এই প্রকল্পের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা বলছেন, অনভিজ্ঞ কোন স্থানীয় কোম্পানীর সাথে বিদেশী কোন অভিজ্ঞ কোম্পানীকে যৌথভাবে কাজ দেয়া হলে প্রকল্পের কাজে সঠিকভাবে আগায় না। তাছাড়া কোন কোন বিদেশী কোম্পানী স্থানীয় কোম্পানীর কাছ থেকে কমিশন নিয়ে যৌথভাবে কাজ নিয়ে থাকে। তবে পদ্মা সেতুর মতো বিশাল বাজেটের এই প্রকল্পে চীনা কোম্পানীটি খুব আগ্রহের সাথেই কাজ করবে বলে তাদের ধারনা । কারণ এই প্রকল্পে ২০০৯ সালের চেয়ে আরো ৪৫ শতাংশ বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। দি ডেইলি স্টার