আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ মরুয়াদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আক্তার (১২)কে অবশেষে বিয়ের পীড়িতে বসতে হয়েছে। বিভিন্ন তথ্যে জানা যায়, বৃহস্পতিবার উপজেলার দক্ষিণ কেকৈ কাশদহ গ্রামের বাবুলের মেয়ে ও উক্ত সপ্রাবি’র ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে দক্ষিণ সীচা (গীদার হাল্যা) গ্রামের লাল মিয়ার পুত্র ও সন্তানের জনক রাশেদুল ইসলাম (৪২)’র সঙ্গে বিয়ের পীড়িতে বসতে বাধ্য হয়েছে। এ ব্যাপারে সাথীর মা কুলছুম বেগম ও বাবা বাবুল বলেন- মেয়ে ছোট হলেও ৮০ হাজার টাকা নির্ধারিত যৌতুক স্বরূপ বুঝে দিয়ে এ বিয়ে দিতে হল। সাথী আক্তার জানায়- সে উক্ত বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। রোল নং- ১০। কিছু না জানলেও এ বিয়েতে বাধ্য হয়েছে। অন্যথায় পূর্ব এক পরিচয়ের সুত্রে ধরে তাকে রাশেদুল তুলে নিয়ে যাবার হুমকি দিয়েছিল মোবাইল ফোনে। এ বিয়ে রেজিঃ করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কাজী আঃ কাদেরকে দিতে হয়েছে ৫ হাজার টাকা। ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম এনামুল হক মন্টু বলেন, জন্ম সনদ নিতে এসে ছিল মেয়ের অভিভাবক। তাকে ১২ বছর বয়স অনুযায়ী জন্ম সনদ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফকে অবগত করা হলেও এ বিয়ের কবল থেকে রক্ষা পাইনি সাথী।