রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মিটারী ইউনিয়নের শংকরদহ গ্রামে গণধর্ষণের স্বীকার ওই গৃহবধূর বাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন আইন ও সালিশি কেন্দ্রর নির্বাহী পরিচালক এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
শুক্রবার দুপুরে তিনি ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তাকে সান্ত্বনা দেন এবং তাকে সবধরনের আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় তিনি গঙ্গাচড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মান্নানকে ঘটনা সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২১ মে রাতে ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে বাড়ির পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেতে গণধর্ষণ করে গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মিটারী ইউনিয়নের শংকরদহ গ্রামের ইয়াছিন আলীর পুত্র হাসান আলী (২৮) সহ দশ বারোজন। তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হাসান আলীকে ধরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাকে ছিনিয়ে নেয়।
এসময় গৃহবধূর সাথে থাকা তার সাড়ে ৩ বছরের শিশু পুত্র জাহিদ হাসানকে ধর্ষকরা শ্বাস রোধ করে হত্যা পর বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া থানায় মামলা করে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মামলার প্রধান আসামি হাসান আলীকে গ্রেফতার করে।
গঙ্গাচড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মান্নান জানান, অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।