প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন এবং ধূমপান বর্জনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
দেশব্যাপী তামাক বিরোধী জনসচেতনতা গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশিসংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,তামাকের পাশাপাশি মাদক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেয়া হযেছে।
প্রধান মন্ত্রী বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে শুক্রবার এক বাণীতে এ কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস’ পলিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, তামাকের ব্যবহার ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে তিলে তিলে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। তামাক সেবন ও ধূমপান ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিকসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। মানুষের মৃত্যু এবং শারীরিক কর্মদক্ষতা হারানোর অন্যতম বড় কারণ ধূমপান বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সরকার তামাক সেবনের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তামাক সেবনে উৎসাহ সৃষ্টিকারী প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ এবং আইন লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য শিশুদের নিকট তমাকজাত দ্রব্য বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসুচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।