থাইল্যান্ডের নতুন সেনাশাসক জানিয়েছেন, আগামী এক বছরের আগে দেশটিতে কোনো নির্বাচন অনু্ষ্ঠান হবে না। বিবিসি।
দেশটির রাজনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনে এই সময় প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এজন্য সকল পক্ষকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
শুক্রবার টেলিভিশন ভাষণে জেনারেল প্রায়ুথ চান-ওচা এসব কথা বলেন।
থাইল্যান্ডে গত কয়েক মাস ধরে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে গত ২২শে মে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।
সেনা অভ্যুত্থানের পর জনগণের উদ্দেশ্যে দেয়া প্রথম ভাষণে থাই সেনাশাসক জেনারেল প্রায়ুথ চান-ওচা বলেন, নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাবার জন্য ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার এক বছর তিন মাসের সময়সীমা ধরে নিয়ছে।
তিনি বলেন, দেশটিতে নতুন সংবিধান প্রণয়ন, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনসহ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সংশোধনের জন্য সময় প্রয়োজন।
দেশটিতে সংঘর্ষ-সহিংসতায় অনেক সময় নষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশটির রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়ার কাজটি সম্পন্ন হবার পরই কেবল নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যেতে পারে।
সমস্যা সমাধানে সামরিক সরকারকে সময় দেয়ার আহ্বান জানিয়ে জেনারেল প্রায়ুথ বলেন যে, লক্ষ্য পূরণের পর সেনারা আবার তাদের জায়গায় ফিরে যাবে।
এর আগে জেনারলে প্রায়ুথ হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, দেশটিতে কোন ধরনের বিক্ষোভ হলে বাহিনী প্রয়োগ করতে তিনি বাধ্য হবেন।
ওদিকে সম্ভাব্য বিক্ষোভ ঠেকাতে শুক্রবার বিকেলে ব্যাংককের একটি ব্যস্ততম স্থানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সেনারা।
থাইল্যান্ডে গত ছয় মাস ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থার প্রেক্ষিতে থাই সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৮ জন নিহত হয়, আহত হয় শত শত বিক্ষোভকারী।
ক্ষমতা গ্রহণের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাসহ শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিকদের গ্রেফতার ও তাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সেনা কর্তৃপক্ষ।