পদ্মা সেতুর মূল কাজ এ মাসেই শুরু হবে। ইতোমধ্যে পদ্মার মূল সেতু নির্মাণের কাজের জন্য চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। সেতু নির্মাণ করতে প্রায় ৪বছর লাগবে। সেনাবাহিনীকেও এই সেতু নিমার্ণে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণ হবে। ইতিমধ্যে নদী শাসন কাজের ঠিকাদার নিয়োগে কারিগরি মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৮ সালে এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ডা. রুস্মম আলী ফরাজীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর কারিগরি ও আর্থিক দরপত্র মূল্যায়ন করে ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব গত ২২ মে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতিহার অনুযায়ী বহুল প্রত্যাশিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুর নির্মাণ কাজ এ বছরের জুন-জুলাই মাসের মধ্যেই শুরু হবে। পদ্মার মূল সেতু নির্মাণের কাজের জন্য চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী লিমিটেডকে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। চায়নার এ কোম্পানী ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকায় সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়া নদী শাসন কাজের ঠিকাদার নিয়োগে কারিগরি মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। আর্থিক প্রস্তাবও চাওয়া হয়েছে, যা ২৯ জুন দাখিল করবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকেও পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এ সেতু নির্মাণ করতে প্রায় ৪ বছর লেগে যাবে। ২০১৮ সালে এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা। ডা. রুস্মম আলী ফরাজীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১১ সালেই আমার পদ্মা সেতুর ভিত্তি পস্তর করি। কিন্তু বিএনপি সরকার তা বন্ধ কওে দেয়। তারা মূলত আমাদেও হেয় করতে চেয়েছে। আমরা সৎ পথে আছি বলেই জনগন আমাদেও আবার ভোট দিয়েছে।
কাজী ফিরোজ রশীদের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মানের জন্য যা খরচ হবে তা বাজেটে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এই খরচের অর্থসহ যথেষ্ট বৈদেশিক মূদ্রাও আমাদের রয়েছে। তাই পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য আমাদেরকে কারো কাছে হাত পাততে হবে না। নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মিত হবে। পদ্মা সেতু শেয়ার মার্কেটে আনার জন্যও ভাবা যেতে পারে।
সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, গত ৫ বছরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করেছে। তার ধারাবাহিকতা এই সরকারের আমলেও রয়ে গেছে। ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেই সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীল রাখাসহ জনগণের উন্নয়ন বাস্তবে রুপ দিতে রুপকল্প ২০২১ গ্রহণ করি। দীর্ঘ মেয়াদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মধ্যমেয়াদের জাতীয় পরিকল্পনার দলিল হিসেবে আমরা ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করি।
২০১৪-১৫ অর্থ বছরই হচ্ছে এ পরিকল্পনার শেষ বাজেট। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত ৫ বছরে নানামুখী বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ ঘাত-প্রতিঘাত সত্ত্বেও জনগণের নিকট অঙ্গীকারকৃত রুপকল্প থেকে একটুও বিচ্যুত হইনি।