অবকাঠামো ভাগাভাগির বিধান রেখে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (আইএসপি) জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করছে সরকার। দেশজুড়ে স্বল্পমূল্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ ছড়িয়ে দিতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, টেলিকম রেগুলেটর আইএসপি’র মধ্যে অবকাঠামো শেয়ারিংয়ের বিধান রেখে ইতিমধ্যেই রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন ফর ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার শিরোনামে একটি নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করেছে। টেলিকম রেগুলেটর বাংলাদেশ টেলিকম্যুনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ইতোমধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নীতিমালার খসড়াটি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে (পিটিডি) পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পিটিডি সচিব আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তারা ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টারনেট সার্ভিসের মান নিশ্চিত করতে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। তিনি বলেন, নীতিমালাটি হবে সময়োপযোগী। এতে ব্যবহারকারীরা স্বল্পমূল্যে মানসম্পন্ন ব্রডব্যান্ড সংযোগ পাবে।
সচিব আরো জানান, বর্তমানে বিশ্ব পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রায় ৮০ ভাগ রাজস্ব আসে ডাটা কমিউনিকেশন থেকে এবং বাকি ২০ ভাগ পাওয়া যায় ভয়েস কল থেকে। তিনি আরো জানান, নতুন নীতিমালার অধীনে আইএসপিএম সারাদেশে অবকাঠামোর ভিত্তিতে পরবর্তী প্রজন্ম প্রতিষ্ঠায় সুযোগ দেবে। নীতিমালায় অপর আইএসপি’র সঙ্গে নেটওয়ার্ক শেয়ার করার অনুমতি দেয়া হবে।
আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের এই উদ্যোগ নেয়াকে সাধুবাদ জানিয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমদাদুল হক জানান, বাংলাদেশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশনের বর্তমান ৬৫টি প্রতিষ্ঠান যেন অ্যাক্টিভলি তাদের নেটওয়ার্ক শেয়ার করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমরা বিটিআরসি’র কাছে আবেদন করেছি লোকাল আইএসপি লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যেন তাদের নির্দিষ্ট অঞ্চলের বাইরে ইন্টারনেট সেবা কার্যক্রম পরিচালনা না করতে পারে এ বিষয়টিও নীতিমালায় আনা হোক। এটা করা না হলে এখানে লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড বিনষ্ট হবে।
দেশে বর্তমানে প্রায় চার কোটি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এর মধ্যে মাত্র ১২ লাখ লোক আইএসপি এবং ফিক্সড ফোন অপারেটর থেকে ইন্টারনেট সংযোগ পেয়েছে।