দেশের ধনী ব্যবসায়ীদের থেকে যথাযথ নিয়মে আয়কর আদায় করে বাজেটের ঘাটতি মেটানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত। শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ সরকারের ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট: প্রতিক্রিয়া ও সুপারিশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে এক কোটি টাকারও বেশি আয়কর দিতে পারেন- এমন ৫০ হাজার ব্যক্তি রয়েছেন। তার মতে, এরা সঠিক নিয়মে আয়কর দিলে তার পরিমাণ হবে বিশাল। সে ক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে দেশের অভ্যন্তরীণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের ওপর চাপ পড়বে না। প্রসঙ্গত, আগামী অর্থবছরের বাজেটে ৬৭ হাজার ৫২২ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতা অনুসারে বাজেট ঘাটতি পূরণে ৫৬ শতাংশ নির্ভর করতে হবে অভ্যন্তরীণ উৎসের ওপর, যা শিল্প খাতের বিকাশে বাধাগ্রস্ত করবে এবং কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধির গতি কমিয়ে দেবে। এ ছাড়া আয়কর আদায় সম্ভব হলে বিদেশী ঋণের চাপও কমবে বলে মনে করেন তিনি। আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হবে এ ঋণের সুদ পরিশোধে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে ৬৭ হাজার ৫২২ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতা অনুসারে বাজেট-ঘাটতি পূরণে ৫৬ শতাংশ নির্ভর করতে হবে অভ্যন্তরীণ উৎসের ওপর, যা শিল্প খাতের বিকাশে বাধাগ্রস্ত করবে এবং কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধির গতি কমিয়ে দেবে। এ ছাড়া আয়কর আদায় সম্ভব হলে বিদেশী ঋণের চাপও কমবে বলে মনে করেন তিনি। আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হবে এ ঋণের সুদ পরিশোধে। উল্লেখ্য, আসন্ন অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বাজেটে আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ঘাটতি রয়েছে ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। এ ঘাটতি মেটাতে সরকার নির্ভর করছে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর। বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে সরকার ৪৩ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে বৈদেশিক বিভিন্ন উৎস থেকে সরকার ঋণ গ্রহণ করবে ২৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সরকার শুধু ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেবে ৩১ হাজার ২২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেবে ১৯ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা এবং স্বল্পমেয়াদি ঋণ নেবে ১১ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেবে ১২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। এদিকে প্রস্তাবিত এ ঋণের পরিমাণ সংশোধিত হয়ে আরও বাড়তে পারে। গত অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৫ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা। পরে এটি সংশোধিত হয়ে ২৯ হাজার ৯৪২ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।