মনিরা মিঠু অভিনয় শুরু করেন ২০০১ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘ওপেনটি বায়োস্কোপ’ নাটকের মাধ্যমে। তবে দর্শকরা তাকে চিনেছে ‘বুয়া বিলাস’ নাকটকি দিয়ে। এতে তার অভিনয় বেশ জনপ্রিয়তা পায়। মুনিরা মিঠু বলেন, এ নাটকটি হুমায়ূন আহমেদ আমাকে গিফট দিয়েছিলেন। যে আমি কখনও থিয়েটার করিনি, এমনকি ক্যামেরাও দেখিনি, সেই আমি অভিনয় শুরু করে দিলাম। এমনকি অভিনেত্রী হবো, ভেতরে ভেতরে এমন স্বপ্ন দেখাও শুরু হলো। কি অদ্ভুত! টানা ছয় বছর শুধু হুমায়ূন আহমেদের নাটকেই অভিনয় করেছেন মুনিরা মিঠু। অন্য কোন পরিচালকের কাজই করেননি। বলা যায়, ১২ বছরের ক্যারিয়ারে মুনিরা মিঠু এখনও জনপ্রিয়তার সঙ্গে অভিনয় করে চলেছেন। মিঠু বলেন, আমার তো অভিনয়ে ১২ বছরের ক্যারিয়ার। কত দূর এগিয়েছি এটা হিসাব করতে গেলে প্রথম ছয় বছর বাদ দিতে হবে। কারণ, ওই সময়ে আমি অন্য কারও নাটক করিনি। হুমায়ূন আহমেদের নাটক করছি, এ কারণে কোন পরিচালক আমাকে ডাকতো না। তারা ভাবতো হয়তো আমি রাজি হবো না। সহকারী পরিচালক হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে মিঠুর। নুহাশ চলচ্চিত্রের এক্সিকিউটিভ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন বছরখানেক। স্ক্রিপ্ট থেকে শুরু করে কস্টিউম অনেক বিষয়ই দেখভাল করতেন। হুমায়ূন আহমেদ চেয়েছিলেন মিঠুকে ডিরেকশনে আনবেন। অথচ ওই কাজেই তার যত অনীহা! পরিচালনায় আর আসা না হলেও অভিনয়টা বেশ ফাটিয়ে করছেন মিঠু। কাজের চাপে ইদানীং ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন না তিনি। একক নাটক, টেলিফিল্মেই বেশি কাজ করছেন। এরই মধ্যে আসছে ঈদের প্রায় দুই ডজন নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। ব্যস্ততা প্রসঙ্গে মুনিরা মিঠু বলেন, এখন তো ধারাবাহিক নাটকে তেমন অভিনয় করছি না। সিঙ্গেল নাটকের অফার আসছে প্রচুর। সোজা কথায় বললে, এক ঘণ্টার নাটকে আমার চাহিদা বেড়েছে। শুটিং শেষ করতে প্রায়ই লেটনাইট হচ্ছে। সব মিলিয়ে দৌড়ের ওপর আছি। অবস্থা এমন, চলচ্চিত্রের জন্যও সিডিউল দিতে পারছেন না মনিরা মিঠু। সিডিউল জটিলতায় পর পর দুটি ছবির কাজ ফসকে গেছে। মিঠু বললেন, ‘আমি কারও সিডিউল ফাঁসাই না। হয়তো নাটকের ডেট এদিক-ওদিক করে ছবি দুটি করা যেত। কিন্তু কাউকে ঝামেলায় ফেলে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করা পছন্দ নয় আমার। মিঠু অভিনীত বর্তমানে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি অপেক্ষায় আছে অপূর্ব রানার পরিচালনায় ‘পুড়ে যায় মন’ এবং এসএম শাকিলের ‘দরজার ওপাশে’ ও সাইফ চন্দনের পরিচালনায় ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’ ছবি তিনটি।