মরণনেশা ইয়াবা থেকে তরুণ সমাজকে মুক্ত করতে ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ ছবিটি নিয়ে দেশ-বিদেশে ছুটে বেড়াবেন পিতাপুত্র কাজী হায়াৎ ও কাজী মারুফ। তরুণ সমাজকে সচেতন করার লক্ষ্যে ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ নির্মাণ করেছেন বক্তব্যধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণে সাহসী পরিচালক কাজী হায়াৎ। মাদকদ্রব্য ইয়াবার উৎপত্তি, আমদানি, ব্যবহারের কুফলের পাশাপাশি এর গডফাদারদের মুখোশ উন্মোচনমূলক জমজমাট একটি গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘সর্বনাশা ইয়াবা’। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী মারুফ। তার বিপরীতে আছেন নবাগত প্রসূন আজাদ। একজন সৎ পুলিশ অফিসার কাজী মারুফ ‘ইয়াবা’র গডফাদারদের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে মিথ্যা অপরাধে চাকরি হারায়। ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ কেড়ে নেয় তার কিশোরী ছোট বোনকে। ইয়াবার জন্য মা খুন করে মেয়েকে। দেশের পতাকা হাতে নিয়ে দেশকে বাঁচানোর জন্য পথে পথে ঘুরে বেড়ায় মারুফ। কেউ তার পাশে থাকে না। এক সময় আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। ধ্বংস করে ইয়াবা সাম্রাজ্য। শেষ করে গডফাদারদের। তরুণ সমাজকে ‘সর্বনাশা ইয়াবা’র হাত থেকে মুক্ত থাকার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানায়। কাজী মারুফের নিজস্ব প্রযোজনায় নির্মিত এ ছবিটি নিয়ে তিনি পিতা পরিচালক কাজী হায়াৎকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যাবেন। ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ সম্পর্কে তরুণ সমাজকে সচেতন করবেন। বললেন, ইয়াবা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়, এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। তাই ছবিটি নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেয়ার চেষ্টা করবো। এর জন্য ছবিতে ইংরেজি সাবটাইটেল ব্যবহার করছি। পরিচালক কাজী হায়াৎ বলেন, ‘ইভটিজিং’ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আমি সুফল পেয়েছি। ছবিটি দর্শকরা পছন্দ করেছেন। তিনি বলেন, ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ ছবিটি নিয়েও আমি ছুটবো। নিজের সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে আমি ছবিটি নির্মাণ করেছি। আমার বিশ্বাস ছবিটি শুধু দর্শক দেখবেই না; ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ ছবিটি তরুণ সমাজকে সচেতন করবে, বিপথগামীদের সুপথে ফিরিয়ে আনবে।