ঢাকা: মোবাইল ফোনের আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাট প্রত্যাহারসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাজেটোত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের অর্থ বিলের ওপর এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মোবাইল ফোনের ব্যবহার গ্রাম অঞ্চল পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে মোবাইল ফোন আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে কোনো ভ্যাট ছিল না। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য মোবাইল আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করা উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যক্তি শ্রেণির আয়করের সীমা দুই লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করার দাবি জানানো হয়। মহিলা করদাতা ও ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার পরিবর্তে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতিবন্ধিদের করমুক্ত আয়ের সীমা তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করার দাবি জানানো হয়। পেনশনার সঞ্চয়পত্র অথবা ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত কর না কাটা এবং আয়কর মুক্ত রাখার দাবি জানানো হয়।
চেকের মাধ্যমে বাড়ি ভাড়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজেটে বাড়ি ভাড়া বলতে ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ দুটিই অন্তর্ভূক্ত। মাসিক ভাড়া ২৫ হাজার টাকার অধিক হলে ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে একজন ভাড়াটিয়ার ভাড়া ২৫ হাজার টাকা নাকি সকল ভাড়াটিয়ার ভাড়া ২৫ হাজার টাকা তা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। এটি সুনির্দিষ্ট করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন করা অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৮২বিবি ধারায় দাখিলকৃত আয়কর রিটার্ন অডিটের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি, ট্যাকসেস আপিলাত ট্রাইব্যুনালকে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্তকরণ, হাইকোর্টে রেফারেন্স মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে দাবিকৃত করের ২৫ শতাংশ পরিশোধের বিধান প্রত্যাহার, করদাতা রির্টান দায়ের না করার কারণে আয়কর মামলা একতরফাভাবে নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দাবিকৃত করের ১০ শতাংশ পরিশোধের বিধান প্রত্যাহার, ১১ সিসিসি ধারার বিধান প্রত্যাহার, ব্যবসায়ের মূলধন বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ এবং সারচার্জ আরোপ সংশোধন।
এছাড়া আয়কর অধ্যাদেশের ১৭৪(২)(এ)(বি) ধারার অধীনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোনো দালালকে আয়কর মামলা পরিচালনা করতে না দেওয়ার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ জিকরুল আহমেদ, ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্বাস উদ্দিন, বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এ কে নেছার উদ্দিন, ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ।