কৈশোর ও তারুণ্যে আমি ক্রিকেট খেলেছি। ক্রিকেটই আমার প্রথম ভালোবাসা। কিন্তু বিশ্বকাপ ফুটবল এলে উন্মাদনা ছুঁয়ে যায় আমাকেও। ফুটবলের অন্য কোনো টুর্নামেন্ট কিংবা ইউরোপের লীগগুলো নিয়ে কোনো আগ্রহ পাই না। কিন্তু বিশ্বকাপ হলে ফুটবলে প্রেমে ডুবে থাকি এক মাস।
১৯৮২ সাল থেকে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখছি টিভিতে। তখন থেকেই ফুটবলে আমার প্রিয় দল ব্রাজিল। সে সময় জিকো, সক্রেটিসদের খেলা দেখতাম মন্ত্রমুগ্ধের মতো। ওই দলটা বিপজ্জনক ছিল যে কোনো দলের জন্য। সত্যিকার অর্থেই ব্রাজিলিয়ানরা নান্দনিক ফুটবল খেলে। তাছাড়া ব্রাজিল কোনো একজনের ওপর নির্ভর দল নয়। একজন ম্যারাডোনা কিংবা একজন মেসি ছাড়া আর্জেন্টিনা অচল। কিন্তু ব্রাজিল বরাবরই একটি সংগঠিত দল। এবারের দলটিও কোচ স্কলারি সেভাবেই সাজিয়েছেন।
ব্রাজিলিয়ানরা ইউরোপীয় ছোঁয়ায় দারুণ শুরু করেছে এবারের বিশ্বকাপ। ক্রোয়েশিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সমর্থকদের স্বস্তি দিয়েছেন তারা। ১৭ জুন রাত ১টায় ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ মেক্সিকো। এটা কঠিন ম্যাচ হবে বলে মনে হচ্ছে। তবে নেইমার, অস্কার ফর্মে আছে। ফ্রেড গোল পেলে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে দলটা। আমার ধারণা আজ ব্রাজিল ৩-০ অথবা ৩-১ গোলে জিতবে।
আমার পুরো পরিবারের প্রিয় দল ব্রাজিল। স্ত্রী, দুই ছেলে রণ ও রুদ্র সবাই ব্রাজিলকে সমর্থন করে। রুদ্র ফুটবল নিয়ে আমার চেয়ে ভালো বিশ্লেষণ করতে পারে। আমাদের সবার আশা, ব্রাজিলই এবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হবে। ১৯৫৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর আয়োজন করেছি। কিন্তু সেবার তারা জিততে পারেনি। ৬০ বছর পর আবার বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ ব্রাজিল। নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ জেতার অতৃপ্তি এবার ঘুচবে তাদের। আমরা সমর্থকরা সেদিকেই চেয়ে আছি।