আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বেংগুলিয়া হাজী আব্দুল গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের লাগামহীন নানা অনিয়ম-দূর্ণীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত সোমবার বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এক জরুরী সভার সিদ্ধান্তে তাকে বরখাস্ত করা হয়। একই সভায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামীম মন্ডলকে প্রধান শিক্ষকের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। জানা গেছে, অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আঃ রাজ্জাক ও প্রধান শিক্ষক শাহ আব্দুস সোবহান গং-এর সাথে ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে নীতিগত মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়। প্রধান শিক্ষক শাহ আব্দুস সোবহান বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সরকারি বিধি-বিধানের কোন তোয়াক্কা না করায় বিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীন কোন্দল আরো চরম আকার ধারণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যানেজিং কমিটির ৯জন সদস্যের মতামত উপক্ষো করায় বিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। প্রধান শিক্ষকের অব্যাহত নানা অনিয়ম-দূর্ণীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সচেতন এলাকাবাসীর মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয়টির সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সুচারুরূপে পরিচালনার স্বার্থে ম্যানেজিং কমিটির আহবানে এক জরুরী সভা আহবান করা হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছালেক মন্ডলের সভাপতিত্বে গত সোমবার পূর্ব নির্ধারিত এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম-দূর্ণীতি পর্যালোচনার এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখাসহ উদ্ভট পরিস্থিতি নিরসনে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সভায় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম সমূহ তদন্তের নিমিত্তে বিদ্যালয়ের সদস্য মুনছুর আলীকে সভাপতি ও আনিছুর রহমান এবং জোসনারা বেগমকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।