শুক্রবার সকালে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এ ঘোষণা দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মায়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আমরা দেখতে চাই, ঈদের পর কি ষড়যন্ত্র নিয়ে মাঠে নামবেন, কত গাছ কাটবেন দেখবো, ঈদের পর আমরাও মাঠে থাকবো, দেখবো কত ধানে কত চাল।
“আওয়ামী লীগ সংগঠন অনেক শক্তিশালী সংগঠন। এটা কলাগাঠ না, এটা বটগাছ। বটগাছে মাথা দিয়ে ধাক্কা দিলে মাথা ফাইটা যাবে।
“শয়তান দূর করতে হবে, দেশে শয়তানের আছর আসছে, মিথ্যাচার যারা করে তাদের চীরতরে দূর করতে হবে।”
খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস-চেয়ারপারসন তারেক জিয়াকে ইঙ্গিত করে মায়া বলেন, “একজন বিদেশে ষড়যন্ত্র করে একজন দেশে করে, কি বলে তারা নিজেরাও জানে না।”
গত ১৭ জুন নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগাম নির্বাচনের দাবিতে ঈদের পরই আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
মন্ত্রী বলেন, “বিএনপি এখন মুসলীম লীগ হয়ে গেছে, স্বাধীনতার আগে মুসলীম লীগের পাশে ছিলো এক লাখ পাক সেনা ছিল। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সেই মুসলীম লীগকে পরাজিত করছিলাম। সেই প্রেতাত্মা দিয়ে আন্দোলন করতে চায় খালেদা জিয়া।
“দলের কর্মীরা রাস্তায় নামে না, আপনার নেতারা আপনার কথা শুনে না, সামনে আপনার ছায়া ছাড়া কিছু নেই, কয়েকদিন দেরি করেন বিএনপি বলে কোনো দল থাকবে না, ষড়যন্ত্র করে কয়দিন টিকে থাকা যায়?
“যার আদর্শ নাই, কর্মসূচী নাই সেই দল টিকবে কীভাবে?
“আজান দিয়ে কি আন্দোলন হয় নাকি? সময় দিয়া আন্দোলন হয় না। আন্দোলন করতে মাজায় জোর লাগে, সেই পচা মানুষ নিয়া আন্দোলন হয় না।”
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের অর্থে তারেক ও খালেদা জিয়া দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায় বলে অভিযোগ করেন মায়া।
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা রাতে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ে ভোরে ফজরের নামাজ পরে দিনের কাজ শুরু করেন, আর আপনে বলেন রোজার পর আন্দোলন। আপনে রোজা রাখবেন কিনা আল্লাই জানে, এতো দেরি করেন কেন, কাল থেকে করেন।
“তিনি (খালেদা জিয়া) শুধু ঘুমায়, ৬ জন মিলে টাইনা তুলতে পারে না, বিকেলে কি বলতে হইবো, একটা মিথ্যা কথা বইলা দিলো। ভেজাল লাগানোর একটা বড় কারখানা এইটা, লেখা নাই পড়া নাই কি বলে কি খায়, লজ্জাও লাগে। রাজনীতি ছেড়ে দিতে ইচ্ছা করে, নাম উচ্চারণ করতেও অজু করতে হয়।”
দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীমের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পেছনে নির্বাচনের আগে যারা হত্যা-খুন করেছে তারা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “বিএনপি-জামায়াতের কূটনৈতিক অপতৎপরতা নিয়ে শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশ সফর করছেন, আরো দেশ সফর করবেন, তারা যতই অপতৎপরতা করুক না কেন সফল হবে না।”
শিল্পকলা একাডেমীতে “বিএনপি জামায়াতের কূটনৈতিক অপতৎপরতা: বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্তরায়” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ দেশরত্ন পরিষদ।
এসময় অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক বলরাম পোদ্দার ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি পীযুষ বন্দোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।