স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় তফসিলি ব্যাংকগুলো ৩ লাখ ৬৬,২৫৪টি হিসাব খুলেছে। এসব হিসাবে আমানতের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩৭০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ৩ মাসের ব্যবধানে হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ৭০,৪৫২টি এবং আমানত বেড়েছে ৬২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রিন ব্যাংকিং ও সিএসআর ডিপার্টমেন্টের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, আর্থিক সেবাভুক্তি বাড়াতে ২০১০ সালের নভেম্বরে স্কুল ব্যাংকিংসেবা চালু করা হয়। ৬ থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা ১০০ টাকা জমা দিয়ে স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় হিসাব খুলতে পারে। এ হিসাব পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মা-বাবা ও আইনগত অভিভাবক থাকার বিধান রয়েছে, যা সঞ্চয়ী হিসাব আকারে খোলা যায়। তবে প্রয়োজনে এ হিসাব থেকে অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে যে কোন সঞ্চয়ী স্কিম খোলার সুযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে জানা যায়, স্কুল ব্যাংকিং হিসাব পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সরকারি ফি ছাড়া অন্য কোন প্রকার সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে না। এ কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে বেতন-ফি জমা দিতে পারবে। বৃত্তি বা উপবৃত্তির অর্থ স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় শিক্ষার্থীদের হিসাবে জমা করা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে বৃত্তি প্রদানকারী সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত কিংবা বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩১শে মার্চ ২০১৪ ভিত্তিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ৬৮,৩৩৪টি, বিশেষায়িত খাতের ব্যাংকগুলো ৫১,৪৫৮টি, বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিকগুলো ২ লাখ ৪৫,৭০৬টি, বিদেশি ব্যাংকগুলো ৬৭২টি এবং নতুন ব্যাংকগুলো ৮৪টি স্কুল ব্যাংকিংয়ের হিসাব খুলেছে। ২০১৩ সাল শেষে তফসিলি ব্যাংকগুলোর স্কুল ব্যাংকিংয়ের হিসাব সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯৫,৮০২টি। সে হিসেবে তিন মাসের ব্যবধানে ২৪%। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৩ শেষে স্কুল ব্যাংকিংয়ের হিসাবগুলোতে আমানত জমেছিল ৩০৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।