আদালতে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রমাণিত করতে না পারলে অনুপ্রবেশের শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ৮ বছরের জেল হতে পারে নূর হোসেনের। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে পুশব্যাক করা হবে বাংলাদেশে।
শনিবার একথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বারাসত আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শান্তময় বসু। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারী সনাক্তের বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ। প্রথমে নূর হোসেনকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা অনুপ্রবেশকারী হিসেবে প্রমাণিত করার চেষ্টা করবেন। পাল্টা নূর হোসেন নিজেকে চেষ্টা করবেন ভারতীয় প্রমাণ করার। সেক্ষেত্রে তাকে পরিচয়পত্র হিসেবে দেখাতে হবে ভারতীয় পাসপোর্ট অথবা সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র। একই সঙ্গে পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেশ করবে আদালতে। এরপর রয়েছে সাক্ষী গ্রহণ পর্ব। সেই প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ।
পুরো প্রক্রিয়ায় যদি নূর নিজেকে ভারতীয় প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে তার সাজা হবে। সাজার মেয়াদ সর্বোচ্চ ৮ বছর। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ থাকবে জেল খাটার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করতে হবে।
জানা গেছে, এই প্রক্রিয়া আরো জটিল। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে নূরের বিষয়ে তথ্য যাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। বিষয়টি পরবর্তিতে যাচাই করবে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস। তারপর সেখান থেকে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এবিষয়ে রিপোর্ট পাঠানো হবে। এরপর নারায়ণগঞ্জ পুলিশের মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের পর ফাইল ফেরত যাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে ভারত সরকারের কাছে।
সনাক্তকরণ নিশ্চিত হলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে ফাইল আসবে কারা দপ্তরে। তারপর শুরু হবে পুশব্যাক প্রক্রিয়া। এভাবে সাধারণত আরো ২-৩ বছর সময় লাগে।
এরকম আইনি প্রক্রিয়ায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২ বছর ধরে মামলা চলছে সুব্রত বাইনের। যদিও পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, দু’দেশের সরকার উদ্যোগী হলে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো যেতে পারে নূরকে যেমনটা হয়েছিল ২০০৭ সালে ৭ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ফেরত পাঠানোর সময়।