চলতি সপ্তাহেই শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) সোহরাব হোসাইন।
রোববার সচিবালয়ের তিনি বলেন, “আমরা তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছি। মন্ত্রী সময় দিলেই প্রতিবেদনটি তার কাছে জমা দেব।”
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে প্রতিবেদনে তিনটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা হয়েছে জানিয়ে সোহরাব বলেন, “আমরা পরীক্ষার সময় কমানোর সুপারিশ করবো।”
প্রশ্ন ফাঁস প্রতিরোধে বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া মতামতগুলো সুপারিশে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে সুনির্দিষ্ট কী কী সুপারিশ করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
এর আগে তদন্ত কাজের মাঝামাঝি সময়ে সোহরাব জানিয়েছিলেন, পাবলিক পরীক্ষায় প্রতি বোর্ডে আলাদা প্রশ্ন এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর দিনে দুটি করে পরীক্ষা নেয়ায় সুপারিশ করা হবে।
এছাড়া পরীক্ষার দিন সকালে প্রশ্ন ছাপনোর বিষয়ে সুপারিশ করা হবে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন তিনি।
এইচএসসির ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর গঠিত এই কমিটি প্রশ্নফাঁসে জড়িত কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব।
তিনি বলেন, “জড়িতদের সনাক্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে, তারা কাজ করছেন।”
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর গত ৯ এপ্রিল ঢাকা বোর্ডের এইচএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
পরদিন সোহরাব হোসাইনকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করে এদের ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে এই কমিটি সময় বাড়িয়ে নেয়।
এই কমিটিকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের সার্বিক বিষয় তদন্ত করে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এইচএসসির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক আব্দুস সালাম হাওলাদারের নেতৃত্বে গঠিত আরেকটি কমিটি তাদের প্রতিবেদন গত ১৮ মে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তাসলিমা বেগম এ বিষয়ে বলেছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেলেই এ বিষয়ে কাজ করা হবে।