তিস্তা ও ফেনী নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া মনু, মুহূরী, খোয়াই, গোমতি, ধরলা ও দুধকুমার নীদর পানি বণ্টন চুক্তি প্রণয়নের বিষয়ে ভারতের আলোচনা চলছে। নিকট ভবিষ্যতে এসব নদীর পানি চুক্তি করা সম্ভব হবে।
সোমববার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এসব তথ্য দেন।
মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে প্রকাশিত ইশতেহারে বলা হয়েছে, শুকনো মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি স্বল্পতার কারণে দুই দেশের জনদুর্ভোগের কথা অনুধাবন করে তিস্তার পানি বণ্টন বিষয়ে জরুরিভাবে সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন। এর ফলশ্রুতিতে তিস্তা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে অনতি বিলম্বে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পৈনী নদীর আন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্কও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এছাড়া মনু, মুহূরী, খোয়াই, গোমতি, ধরলা ও দুধকুমার নীদর পানি বণ্টন চুক্তি প্রণয়নের বিষয়ে ভারতের আলোচনা চলছে। নিকট ভবিষ্যতে সমতা, ন্যয়ানুগতা এবং পরস্পরিক ক্ষতি না করার নীতির ভিত্তিতে এসব নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব বলে আশা করা হচ্ছে।