‘এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ব্রাজিলের ম্যাচের ধারা বিবরণী শুনলাম রেডিওতে। একবার ১৯৫০ সালে আর এবার…।’ ব্রাজিল-ম্যাক্সিকোর ম্যাচে যানজটের কবলে পড়ে পেলে এ মন্তব্য করেছিলেন। সাও পাওলোর রাস্তায় পেলের আটকে থাকার এ খবর ফুটবলবিশ্বে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। সঙ্গে এ প্রশ্নও এসেছে, পেলে কেন ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে যাননি? তবে কি তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি?
বিশ্বকাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও ফুটবল সম্রাট ছিলেন অনুপস্থিত। সম্প্রতি জানা গেল, এবার হয়তো প্রথা ভেঙে চ্যাম্পিয়নদের হাতে ট্রফি তুলে দিতে পারেন ব্রাজিলের সুপার মডেল জিসেল বুন্ডশেন। এ ক্ষেত্রে পেলের নাম কেন এল না—সেটি নিয়েও প্রশ্ন। ৬৪ বছর পর ব্রাজিলে ফিরেছে বিশ্বকাপ। অথচ কোথাও যেন সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী বিশ্বকাপের রাজাকে।
সাও পাওলোর এক যাজক রদ্রিগো আনদ্রাদ খুবই বিস্মিত এ বিষয়ে। বললেন, ‘ব্রাজিলের বাইরে যাঁরা বিশ্বকাপ দেখতে এসেছেন, তাঁরা পেলেকেও দেখতে এসেছেন।’ তবে সান্তোস ফুটবল ক্লাবের জাদুঘরের ইতিহাসবিদ গুয়িলহার্মে গুয়ার্সে জানালেন, ফিফার সঙ্গে নাকি পেলের সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না। এ কারণেই বিশ্বকাপে তিনি উপেক্ষিত। আবার সাংবাদিক মার্কোস গুতেরমান বললেন, ব্রাজিলে পেলের ভাবমূর্তি ক্রমেই নিম্নমুখী, ‘বিদেশিরা যেভাবে গুরুত্বের সঙ্গে দেখে, পেলেকে ততটা গুরুত্ব দেয় না ব্রাজিলিয়ানরা। এখানে অনেক ফুটবল খেলোয়াড় আছেন, যারা পেলের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। যেমন—সক্রেটিস, তাঁর মতামত আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি রাজনৈতিকভাবে জড়িত ছিলেন। পেলে ছিলেন না।’