আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, “সজীব ওয়াজেদ জয় শারীরিকভাবে অসুস্থ। এ কারণে তার উপস্থিতি আমাদের তেমন প্রয়োজন নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও আমাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন না।”
বুধবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, “আমরা আশা করি জয় আগামীতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবে। স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি প্রতি পদে পদে দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “সরকার গঠন হয়েছে। তাই এই সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতি পদে পদে প্রতিবন্ধকতা আসবে। এসব উপেক্ষা করে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “শারীরিক অসুস্থার কারণে আজকের অনুষ্ঠানে আসবেন না জয়। আমরা তার শারীরিক সুস্থতা কামনা করছি।”
সভায় দলটির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “গণতন্ত্রহীন উন্নয়ন কখনো সম্ভব নয়। তাই আমরা চাই দলকে তৃণমূল পর্যন্ত সুসংগঠিত করে ঢেলে সাজাবো। নয়তো সরকারের পক্ষে তার কাজগুলো জনগণের মাঝে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। সরকারের কিছু কর্মী বাহিনী তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠিত হয়েছে। সরকার দেশ পরিচালনা করবে আর ছাত্রলীগ-যুবলীগ তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেবে। আগামীতে উন্নয়নমূলক কাজ দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করতে হবে। আমরা উন্নয়নও চাই। আবার সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রও চাই।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ আরো অনেকে।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা এবং শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।