খুলনায় পুলিশের সাথে ‘ক্রসফায়ারে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় ফেরদাউস ইসলাম ওরফে লিটু সরদার (৩০) নামের ওই ব্যক্তি নিহত হন। লিটু নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য বলে জানা যায়।
শনিবার ভোরে জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার থুকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লিটু ওই গ্রামের রেজাউল করিম সরদারের ছেলে। লিটুর লাশ ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে।
লিটুর বাবা রেজাউল করিম। উপজেলার রঘুণাথপুর ইউনিয়ানের থুকড়া গ্রামে তাদের বাড়ি।
পুলিশ দাবি করে লিটু একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।
ডুমুরিয়ারএসআই নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর রাতে লিটুর বাড়ির এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ।
‘এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লিটুর সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশ পাল্টা গুলি বর্ষণ করলে লিটু নিহত হন’
তবে স্থানীয় এবং পুলিশের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে থুকড়ার মকবুল গোসাইয়ের বাড়ি থেকে ফেরদাউসকে গ্রেপ্তার করে ডুমুরিয়া থানা ও খুলনা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। তার দেওয়া তথ্যে অস্ত্র উদ্ধারে নামে পুলিশ।
তাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ রাত পৌনে দুইটার দিকে থুকড়া বাজার এলাকার আলাউদ্দিন গাজীর মত্স্য ঘেরের এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ফেরদাউসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বন্ধুকযুদ্ধের সময় ১০-১২টি গুলি ছোড়ে পুলিশ। ওই ঘটনায় পুলিশের সদস্য ইলিয়াস হোসেন ও মোসলেম হোসেন আহত হন। তাঁরা প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়েছেন।
ডুমুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজাহারুল ইসলাম বলেন, ফেরদাউসের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অপহরণ, হত্যা, অস্ত্রসহ সাত-আটটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।