ঢাকা: খবর প্রকাশে নিরপেক্ষ অবস্থান না নিলে পত্রপত্রিকাগুলো আর তাদের খবর প্রকাশের নীতিতে থাকে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে কিছু গণমাধ্যম পক্ষপাতমূলক অবস্থান নিয়েছে এমন অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।
শুক্রবার সোহরাওর্য়াদী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যমগুলোরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল ও সরকার যদি ভুল করে তাহলে বাংলাদেশের ভয়ানক পরিণতি হতে পারে। আমরা সমালোচনা চাই তবে বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা চাই।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ-৫ উপ-নির্বাচন আসার সঙ্গে কিছু মহল তারা অতি চিৎকার শুরু করলো। এটা একটা নিছক মামুলি উপনির্বাচন। প্রথম তারা এখানে আওয়ামী লীগকে জড়ানোর চেষ্টা করলো। না পেরে তারা লিখলো এই উপনির্বাচনে একদিকে নারায়ণগঞ্জবাসী অন্যদিকে ওসমান পরিবার।’
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগ দশম জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রার্থী দেয়নি। এবারো এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এখানে কোনো আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়া হয়নি।
বক্তব্যে আশরাফ ওসমান পরিবার প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওসমান পরিবারতো কোনো রাজনৈতিক দল নয়। খান সাহেব ওসমান তিনি আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং আওয়ামী লীগের জন্মের অন্যতম স্থান এই নারায়ণগঞ্জ। এই ওসমান পরিবারের যারা রাজনীতি করেছেন তারা অনেক ত্যাগ ও তিতিক্ষা রয়েছে এ দেশের গণমানুষের স্বার্থের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘এখানে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, দুঃখের বিষয় কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা নির্বাচনটাকে ওসমান পরিবার বনাম নারায়ণগঞ্জবাসীর- এভাবে উল্লেখ করতে চেয়েছিল।আমার আসলে দুঃখ হয়, তারা ওসমান পরিবার সম্পর্কে কিছু জানে না বা জানলেও না জানার ভাব করেন।’
ওসমান পরিবার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘এই ওসমান পরিবারকে, এই খান সাহেব ওসমানকে আমরা আওয়ামী লীগের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারবো না।’
গণমাধ্যমে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যম যদি কোনো পক্ষ অবলম্বন করে, তাহলে তারা নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে খবর প্রকাশ করার নীতিতে তারা আর থাকে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়ার পরিবর্তে অনেকে না জেনে না বুঝে গণতান্ত্রিক যাত্রাকে ব্যাহত করতে চাচ্ছেন।
এসময় নারায়ণগঞ্জ-৫ উপনির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে দাবি করেন সৈয়দ আশরাফ।