অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, “ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় আমরাই প্রথম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিচারের কাঠগড়ায় এনেছি। এই খাতের জালিয়াতি বন্ধের দায়িত্ব আমি নিয়েছি।”
রোববার সকালে জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের নির্দিষ্টকরণ বিলের ওপর আনিত ৮ নম্বর দাবির ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “ব্যাংকিং খাতে মাঝে মাঝেই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি সোনালি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংকিং খাতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
“জালিয়াতি বন্ধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে অতীতে কেউ এসব কথা চিন্তাই করতে পারেনি” উল্লেখ করেন তিনি।
মিডিয়ার প্রশংসা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “ব্যাংকিং খাতে জালিয়াতি নিয়ে সংসদ সদস্য ও মিডিয়াগুলো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছে। তারা আমাকে এ ব্যাপারে সচেষ্ট হওয়ার কথা বলেছেন। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক, তাই এগুলো আমলে নিয়ে জালিয়াতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং এই ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।”
বেসিক ব্যাংকের পরিষদকে নতুন করে গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই এটা দেখা যাবে বলেও জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, “তবে সংসদ সদস্য ও সংবাদ মাধ্যমের সচেতনতার কারণে শুধু সরকারই এ বিষয়ে সাবধান হবে তা নয়, বরং যারা দুর্নীতি করে তাদের জন্যও এটা সর্তকবার্তা।”