সাংবাদিকদের নিয়ে করা সরকারদলীয় সাংসদ শামীম ওসমানের মন্তব্য সম্পর্কে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘সম্প্রতি একজন রাজনীতিবিদ সাংবাদিকদের নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি যে শব্দ ব্যবহার করেছেন, তা আমার ভালো লাগেনি।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠীর এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত এ কথা বলেন।
২৬ জুন নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে সাংবাদিকদের প্রসঙ্গে সরকারদলীয় সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, ‘সাংবাদিকেরা হচ্ছে কুকুর। আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন পাড়ার অনেকে পয়সা হলে বাড়িতে কুকুর পুষত। ওদের বাড়ির সামনে গেলে কুকুরগুলো মুখ ভেংচাত। এরপর যাদের আরও পয়সা হলো, তারা মিডিয়া পোষা শুরু করল। এগুলো হলো অ্যালসেশিয়ান কুকুর। প্রশিক্ষিত। লাথি দিলেও এগুলো কামড়াতে আসে।’
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের মধ্যে সম্পর্ক পরিপূরক ও সম্পূরক। এ জন্য সাংবাদিকতাকে রাষ্ট্রের ফোর্থ এস্টেট (চতুর্থ স্তম্ভ) বলা হয়। প্রেসের মাধ্যমেই জনগণের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের সম্পর্ক স্থাপিত হয়।’
আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, রাজনীতিবিদদের বুঝতে হবে দাম্ভিকতা, হম্বিতম্বি করে রাজনীতি হয় না। রাজনীতিবিদের কার্যকলাপ গণমাধ্যম যুক্তি দিয়ে বিচার করবে।
সুরঞ্জিত সাংবাদিকদের নিয়ে কথা বলার আগে রাজনীতিবিদদের আরও সংযত, সুশীল ও সম্ভ্রান্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিদদের সব কাজই যে ঠিক, কিছু বেঠিক নয়—সেটা ভাবা অবান্তর। সংবাদমাধ্যমে রাজনীতিবিদদের যে ইমেজ দাঁড়ায়, সেটাই পরে জনগণ বিচার করে। এ জন্য আপনাকে শিক্ষা নিতে হবে, আমাকেও শিক্ষা নিতে হবে।’
‘সুইস ব্যাংকের অর্থ ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক কমিটি করতে হবে’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন দাবির প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত বলেন, ‘ওই কমিটি কেমন হবে, কীভাবে হবে, সেটা তাঁকে বলতে হবে। আর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কমিটির মধ্যে পার্থক্য কী, সেটাও যেন তিনি বর্ণনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সুইস ব্যাংকে যারা অর্থ পাচার করেছে, সে টাকা ফিরিয়ে আনা হবে।’ তিনি বলেন, যারা অর্থ পাচার করে, তারা কেউ দেশপ্রেমিক নয়। তাদের একমাত্র পরিচয় অর্থ পাচারকারী।
আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মোহাম্মদ সেলিম।