‘যদি আসে, নিজেদের কাছে কুড়াল রাখুন, ভোজালি রাখুন, নিজেরা মারুন। মাথার মধ্যিখানে মারুন। তারপর কে আপনাদের জেলে নিয়ে যায় আমি দেখব।’ সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি ভিডিও ফুটেজে এসব কথা বলতে শোনা গেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তাপস পালকে।
গত ১৪ জুন রাজ্যের নদীয়া জেলার চৌমাহা ও গোপীনাথপুরের সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য করায় শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা ভারতজুড়ে বিতর্কের মুখে পড়েন টালিউডের এই অভিনেতা।
একই দিন ওই জেলার তেঘরি গ্রামে তাপস পাল আরেকটি সমাবেশ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কলকাতার বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ওই সমাবেশের ভিডিও ফুটেজ প্রচার করা হয়।
ভিডিও ফুটেজে তাপস পালকে সমর্থকদের উদ্দেশে বলতে দেখা যায়, ‘আপনারা যদি ওঁর (সিপিএম নেতা রফিকুল) বাড়ি ভেঙে দিতে পারেন, বুঝবো আপনাদের দম আছে। আমি বলছি, ওঁর বাড়ি ভেঙে দিন।’
এ ঘটনার পরের দিন অর্থাত্ ১৫ জুন তৃণমূলের সমর্থকরা সিপিএমের নেতা রফিকুলের বাড়িতে ভাঙচুর চালান বলে জানা গেছে।
বিধানসভায় বামদের ওয়াকআউট
আজ শুক্রবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় তাপস পালের গ্রেপ্তার দাবি করেন সিপিএমের বিধায়ক আনিসুর রহমান। তিনি একই সঙ্গে এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের নেত্রী মমতা ব্যানার্জির বিবৃতির দাবি জানান। তবে মমতা বিবৃতি না দেওয়ায় বাম দলের বিধায়কেরা অধিবেশন বর্জন করে আসন ছেড়ে নিচে নেমে বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁরা বিধানসভা থেকে বাইরে বেরিয়ে যান।
তাপস পালের বিরুদ্ধে এ আন্দোলন ৭ জুলাই সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরুর দিন থেকে অব্যাহত থাকবে বলে জানান বাম নেতারা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মমতা ব্যানার্জি তাপস পালকে এবারের সংসদ অধিবেশনে যোগ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে সিপিএমের নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তাপস পাল ভয় পেয়ে গেছেন। তাই তো ওকে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছে।’
তাপস পালের এসব ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনো প্রতিবেদন পাঠায়নি।