জুলিয়া প্রোবস্টের কথা মনে আছে?
ভ্রু কুঁচকে ওঠার আগেই আরেকটি সূত্র দেওয়া যেতে পারে, ইউরো-২০১২। তবুও চেনা গেল না? ব্যাখ্যাটা দেওয়া যাক তাহলে। ইউরো ২০১২-এ জার্মান কোচ জোয়াকিম লোয়ের ঠোঁটের গতিবিধির ওপর নজর রেখে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলেন এই জার্মান তরুণী। ওষ্ঠ পঠনে বিশেষজ্ঞ (লিপ রিডার) প্রোবস্ট শুধু নজর রাখলেও সমস্যা ছিল না। মাঠে কে কী বলছে, দুম করে তা তুলে দিয়েছিলেন টুইটারে! ক্যামেরা জার্মান খেলোয়াড় বা কোচের ক্লোজ ধরলে টিভি দেখেই তিনি ঠোঁট পড়ে ফেলেছিলেন এবং কে কী বলল, সেটি টুইট করেছিলেন।
এবার বিশ্বকাপেও লোর ঠোঁটের ভাষা পড়তে হাজির প্রোবস্ট! ৩২ বছর বয়সী এ ওষ্ঠপঠন বিশেষজ্ঞ এবারও পাঠোদ্ধার করেছেন লোর ঠোঁটের ভাষা। গ্রুপ পর্বে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচে জার্মান কোচ ডাগ-আউটে চিত্কার করে নাকি বলে উঠেছিলেন, ‘দিজ ইজ সো শিট!’ নকআউট পর্বে আলজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে চলার সময় লো ক্রুদ্ধ হয়ে বলেছিলেন, ‘এটা কী? বুঝতে পারছি না, কেন আরও ভালো হচ্ছে না!’
প্রবোস্ট এ কাজ করছেন ২০১০ বিশ্বকাপ থেকেই। এ বিশ্বকাপেও সাড়ে ২৭ হাজার অনুসারী প্রবোস্টের পোস্টগুলো দেখছেন। জার্মান ও ইংরেজি—দুই ভাষা পড়তে পারেন তিনি। ২০১২ ইউরো শেষে প্রোবস্টের কথা শুনে জার্মান কোচ বলেছিলেন, ‘তাহলে এখন থেকে সাবধানে মুখ খুলতে হবে!’ তাতেও শেষ রক্ষা হলো কই?
অবশ্য প্রবোস্ট জানালেন, এ বিশ্বকাপে কাজটা কঠিন হয়ে গেছে। খেলোয়াড় ও কোচেরা বেশ সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। বললেন, ‘এ বিশ্বকাপে খেলোয়াড়-কোচেরা মুখ এক হাতে ঢেকে কথা বলেন। যেমন—আলজেরিয়ার বিপক্ষে শেষ বাঁশি বাজার পর ম্যানুয়েল নয়্যার সতীর্থদের সঙ্গে এভাবে কথা বলেছিলেন। এটি ওষ্ঠ পঠনের সেরা বিজ্ঞাপন।’ খেলা যত স্নায়ুক্ষয়ী হোক না কেন, জার্মানি দল সব সময় মাথা ঠান্ডা রাখে। প্রবোস্ট বললেন, ‘খেলোয়াড়েরা খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন। একে অপরকে সাহস দেন। সবাই নিপাট ভদ্রলোক।’
জোরে তো প্রশ্নই আসে না, বিড় বিড় করেও যে গালি দেবেন, সে উপায় কী আছে? কোচ-খেলোয়াড়ের ঠোঁটের গতিবিধির ওপর নজর রাখছেন প্রবোস্ট। ফলে সাবধান! সূত্র: এএফপি।